পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंख्l e गभड । سرمچھ অন্যে বলিলে রাগ হইতে পারে, কিন্তু নিজের দোষ নিজে দেখিলে, নিজ দোষের কথা নিজে বলিলে, উপকার দাশিতে পারে। ভীরুতা কৰ্ত্তব্যের মহা কণ্টক, মনের মহাব্যাধি, মনুষ্যত্বের মূৰ্ত্তিমান বিস্ত্ৰ। ভীরু, মানুষের মধ্যেই গণ্য নয়। অন্যান্য অনেক গুণ থাকিলেও একমাত্র সৎসাহসের অভাবে মানুষ, মনুষ্যত্বহীন হইয়া পড়ে। আমরা যদি মানুষ হইতে চাই, তবে এই কণ্টক দূৰ করিতে হইবে, এই মহাব্যাধির প্রতিকার করিতে হইবে । কিন্তু কোনও ঔযধ আছে কি ? রোগ মাত্রেরই ঔষধ আছে, চিকিৎসা আছে ৷ ভীরুতা-রোগ দুঃসাধ্য হইলেও অসাধ্য নিচে । প্ৰতীকারের কথা পূৰ্ব্বেই এক প্রকার বলা হই য়াছে ; এখন সংক্ষেপে আরও দুই একটা কথা বলিতেছি । আগে বুঝিতে হইবে, আমরা ভীরু কি না । ভীরু নই, একথা বলিলে আত্মবঞ্চনা করা হইবে । বুঝিয়া, ভীরুতা দুব কবি বার ইচ্ছা জন্মাইতে হইবে। ইচ্ছার অসাধ্য কোন কৰ্ম্ম নাই । বলের অভাবে, বিনা কারণেও মনে ভয় আসে। শরীরের ও মনের বলবৃদ্ধি ঠাইলে ভীরুতা আপনা হইতেই চলিয়া যাইবে । বলের জন্য গৃহীমাত্রেরই সংযম শিক্ষা করা ও সন্তানদিগকে শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক । ভয়কে জয় করিবার জন্য ভক্ত রামপ্ৰসাদের ভাব লইয়া যদি মনকে প্ৰবোধ দিতে পারা যায়, তবে ভাব ভিন্ন থাকিতে পারেন । ‘মন কেনরে ভাবিস এত, মাতৃহীন বালকের মত ? ফণী হয়ে ভেকে ভয়, এযে বড় অদ্ভুত । ওরে তুই করি সকালে ভয়, হয়ে ব্ৰহ্মময়ীসুত ?”