পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মসংযম । ܠ ܬܬ আমরা দেবতা হইতে না পারিলেও মানুষ হইতে পারি। মানুষ হইলেই মনুষ্য-জন্ম সার্থক । প্ৰত্যেক মানবাত্মা নিজ নিজ অস্তব-রাজ্যের রাজা । ষে রাজা, ‘রূপকথায় বর্ণিত রাজার ন্যায় “দুয়োরিাণী’ ও ‘সুয়োরিাণী” ( সুপ্রবৃত্তি ও কুপ্রবৃত্তি) লইয়া ঘর করেন ; এবং দুয়োরিাণীকে নিগ্ৰহ করিয়া সুয়োরাণীর বশীভূত হন, তিনি ‘রূপকথার’ রাজার ন্যায় শোচনীয় দশা (2fed & = } বৃত্ৰাসুর মূৰ্ত্তিমান দন্ত। বৃত্ৰাসুরের পত্নী ঐন্দ্ৰিলা মূৰ্ত্তিমতী কুপ্ৰবৃত্তি । ঐন্দ্ৰিলা পতির বাসনানিলে কেবলই ইন্ধন যোগাইত। ঐন্দ্রিলার উত্তেজনায় দেবদ্রোহী বৃত্ৰ ইন্দ্ৰাণীকে হরণ করিয়াছিল। কেবল-প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্ত, অবশী বৃত্ৰ পাপে ডুবিয়া প্ৰাণ হারাইয়াছিল। মানুষের অন্তরে অসুর আছে, দেবতা আছেন । এই অসুরকে ঘিনি জয় করিতে পারিয়াছেন, তিনিই প্ৰকৃত বীর। তিনি দেবতার সেবা করিয়া দেবত্বলাভে সমর্থ। সাধারণতঃ মানুষের অসংযত আত্মা ‘সুয়োরিাণীর” ( কু প্ৰবৃত্তির ) কুহকে ভুলিয়া তাহাকেই ভালবাসে, তাহারই কথা শুনে, এবং ‘দুয়োরিাণীকে ( সুপ্ৰবৃত্তিকে ) অনাদর করে। বৃত্ৰাসুর প্রভৃতির কথা কল্পনার সৃষ্টি বলিয়া আমরা মনে করিতে পারি ; কিন্তু কুপ্রবৃত্তি লইয়া মানুষ অসুর হয় একথা সত্য; ইতিহাস । তার সাক্ষী । মাতৃহন্ত, স্ত্রীহস্তা, গুরু হস্তা, অসংখ্য নরহস্তা রোমসম্রাট নিরোর (Nero) কুকীৰ্ত্তি ইতিহাসের কলঙ্কিত পৃষ্ঠা অস্থাপি ঘোষণা করিতেছে। অন্যাপি লোকে তাহার নামে শত ধিক্কার দিতেছে। দুরন্ত বন্যাশাৰ্দলও বোধ হয় মাতৃহত্যা করিতে কুণ্ঠিত হয়, যে বাঘিনীর সহিত সে পত্নীবৎ ব্যবহার করে, তাহাকে হত্যা করিতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু মনুষ্যদেহ