পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মসংযম । Σδός মনেই জন্মে, মনের মধ্যেই থাকে। ক্রোধালোভাদি কামের সঙ্গী । ইহাদের মতন দুৰ্জয় শত্রু আর নাই। কিন্তু দুর্গ জয় করিতে পারিলেই দুৰ্গবাসিগণ বশে আসে, না-হয় পলাইয়া প্ৰস্থান করে । মনের দ্বারাই ইন্দ্ৰিয় জয়, মনের দ্বারাই মনের জয় করিতে হয় । সাধারণতঃ লোকে পরের উপর আধিপত্য করিতে একান্ত সমুংসুক ; কিন্তু নিজের উপর। প্ৰভুত্ব লাভ করিতে পারিলেই প্ৰকৃত সুখ । নিজের উপর যাহার প্রভুত্ব নাই, যে রিপুর দাস, তাহার স্বাধীনতা কোথায় ? আত্মজয়ে প্রক্লােত স্বাধীনতা । পরিবার মধ্যে যদি সকলেই স্ব স্ব প্ৰধান হইয়া কৰ্ত্তাব অবাধ্য হয় ও কীৰ্ত্তার কর্তৃত্ব লোপ করে, তবে সেখানে কেবল বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। পক্ষান্তরে, কর্তা যদি উহাদিগকে শাসনে-অধীনে রাখিতে পারেন, তবে সুখশান্তি সম্ভবপর। সেইরূপ অন্তর-পরিবারে সকলকে বশীভূত রাখিতে পারিলেই আত্মা সুস্থ-সুখী হইতে পারে। সংযম চরিত্র্যলাভের প্রধান সাধন । ইহার বলে মানুষ পশুর উপরে আসন পাইয়া থাকে। এই সংসার পরীক্ষা-প্ৰলোভনে, বিস্ত্ৰ-বিপদে পরিপূর্ণ। সংযম অভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া দুষ্কর। বিপদে আত্মরক্ষা করা দুঃসাধ্য। সংযমবিহীন নর জীবনস্রোতে তৃণবৎ ভাসিতে থাকে, কূল পায় না। অসংযমে অমিতাচার, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচার। বিবেকাধীন থাকিয়া নিয়মপূর্বক যথেচ্ছ প্ৰবৃত্তির শাসন-সংযম না হইলে জীবন উচ্ছঙ্খল ও দুঃখময় হইয়া থাকে। সংযমের উপকারিতা উত্তম রূপে জানিয়াও অভ্যাসদোষে অনেক যুবককে ইন্দ্ৰিয়সংযমে সম্পূর্ণ অসমর্থ দেখা যায়। কবি বৰ্ণস্য স্বয়ং লিখি 引乙夏可3一