পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মসংযম । So G জার্টফেনের যুদ্ধে সাংঘাতিক রূপে আহত হইয়। সার ফিলিপ সিন্দনি (Sir Philip Sidney) দারুণ জল-পিপাসায় কাতর হইয়াছিলেন, কিন্তু জলের অত্যন্ত অভাব। অতি কষ্টে একটু জল আনিয়া তঁহাকে দেওয়া হইল। তিনি তাহ পান করিবার জন্য মুখের কাছে নিয়াছেন, এমন সময় দেখিতে পাইলেন, তদাবস্থ একজন সামান্য সৈনিক সেই জলের গ্লাসের পানে সতৃষ্ণনয়নে চাহিয়া রহিয়াছে। ফিলিপ তৎক্ষণাৎ নিজে পান না করিয়া সৈনিককে পানাৰ্থ সেই জল দিলেন । কেমন সংযম | কেমন ত্যাগাস্বীকার । কবি বর্ণস ও ইহার কাৰ্য্যে কত পার্থক্য । কেবল এই একটা মাত্ৰ কাৰ্য্য স্মরণ করিয়াই আমরা বলিতে পারি, ইহার “সার’-উপাধি সম্পূর্ণ সার্থক । ইনি প্রকৃতই মহাশয় ব্যক্তি। বঙ্গের অসামান্য প্রতিভাশালী কবি মধুসূদনের কি শোচনীয় পরিণাম ঘটিয়াছিল, তাহা ভাবিতে বুক ফাটিয়া যায় ! ধনীর পুত্র হইয়া, বাগেদবীর বরপুত্ৰ হইয়া, বহুভাষাবিং ব্যারিষ্টার হইয়া, কেন তাহার এত অর্থাভাব ? কেন তিনি অর্থাভাবে নিদারুণ মনঃকষ্টে দাতব্য চিকিৎসালয়ে অকালে মানদলীলা সম্বরণ করিলেন ? সংযমের অভাবই ইহার একমাত্ৰ কারণ। মধুস্থ ৮ নর জীবন অবশী-বিদ্বানদিগের পক্ষে বিশেষ শিক্ষাপ্রদ। শরীর ও ১ ব্লগঠন শাসন-শিক্ষণ-সাপেক্ষ। শরীরকে গড়িয়া পিটিয়া লোহার। ভীম করা যায়, আবার ননীর পুতুলও করা যায়। আমরা কিন্তু ননীর পুতুলই ভালবাসি। একটু সূৰ্য্যতাপেই ভদ্রলোকের ছেলেমেয়েগুলি কেমন গলিয়া যায়। ছোটবেলা হইতে, রৌদ্র-বাতি-বৃষ্টি হইতে সন্তানদিগকে রক্ষা করিতে ভদ্রঘরের পিতামাত সৰ্ব্বদা এত সতর্কতা অবলম্বন করেন যে, যদি দৈবাৎ সামান্য একটু রৌদ্র বা বৃষ্টির জল গায়ে লাগে, তবেই তাহাদের মাথা ধরে, জর হয়, বা অন্য কোন রকম অসুখ হইয়া পড়ে। এই অভ্যাসের ফলে তাহারা বড় হইয়াও বড় ননীর পুতুলই