পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobro পূজা ও সমাজ । হুইয়া থাকে ৷ পক্ষান্তরে আমরা অহরহ দেখিতেছি, শ্রাবণের ধারা কৃষকের অনাবৃত মস্তকে অবিশ্রান্ত পতিত হইয়াও মাথা ধরা জন্মাইতে পাবে না । সে অনায়াসে পৌষের শীত, চৈত্রের রৌদ্র সহ কারিয়া শরীরটাকে দৃঢ় করিয়া তুলিয়াছে । ইহা আবাল্য অভ্যাসের ফল। মুটে মজুর তিন মণী বস্তা বহন করিয়া পৃষ্ঠের শক্তি পরীক্ষা করে । নগ্নপদে প্ৰস্তর-ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত রাজপথে যোজন পথ হাটিতে অথবা দিনে ২৫। ৩০ মাইল চলিতে কেহ ক্লেশ বোধ করে না । কেহ বা পোয় মাইল ভাটিয়া ক্লান্ত হয়। কেহ দশ মণ পাথর বুকে লাইতে পারে, কেহ পাচ সের পাথরের চাপ সহিতে পারে না । ইহা অভ্যাসের ফল । ফলতঃ “শরীরের নাম মহাশয়, যা সহাও তাই সয় ।” ননীর পুতুলে কোন কাজ হয় না। লোহার শরীর চাই। লোহা যেমন কাজের জিনিষ, এমন কোন ধাতুষ্ট নিচে । সেইরূপ লোহার শরীবদ্বারা জীবনে অনেক কাজ পাওয়া যায় । লোহার শরীর পাইতে হাইলে, শরীরকে না বসাইয়া প্ৰতিদিন নিয়মিতরূপে খাটাইতে হইবে । ধনী, বাবু, ভদ্র সকলেরই শ্রম-শ্যায়াম, প্রকৃতির সঙ্গে খেলা, উদ্যমসাপেক্ষ ক্রীড়া অভ্যাস করিতে হইবে । আমরা বলিয়াছি, শরীরকে গড়িয়া লোহারা ভীম করা যায়। ইহা যে কথার কথা নয়, ইহা যে বস্তুগত্যা সত্য, তাহা ঢাকার শ্যামাকান্ত এবং মাদ্রাজের রামমূৰ্ত্তি প্ৰমাণ করিয়াছেন । শ্যামাকান্ত নিজের সার্কাসে বড় বড় বাঘের সহিত খেলা করিয়া, বার তের মণ পাথর বুকে লইয়া, শারীরিক শক্তির যেরূপ পরীক্ষা দিয়াছেন, তাহা আমরা অনেকেই দেখিয়াছি। po রামমূৰ্ত্তি যদিও বাল্যকালে হাপানিরোগে আক্রান্ত হইয়াছিলেন এবং অতিশয় দুর্বল ছিলেন, তথাপি প্ৰবল ইচ্ছা লইয়া, রীতিমত নানা প্ৰকার