পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ আত্মসংযম । ܠܹ ܘ ܓy কামের সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধ ও লোভ অন্তৰ্হিত হয় । তেজস্বীরা ক্ৰোধ পরিহার করেন, কিন্তু তেজ পরিত্যাগ করেন না। ক্ৰোধ আর তেজ ভিন্ন পদার্থ। তেজ-বল। ক্ৰোধ-দুর্বলতা । তেজস্বীতি যমাহুর্বৈ পণ্ডিত দীৰ্ঘদৰ্শিনঃ । ন ক্ৰোধোহভ্যন্তরস্তম্ভ ভবতীতি বিনিশ্চিতম। ( भश्iडाइड ) দীৰ্ঘদৰ্শী পণ্ডিতেরা র্যাহাকে তেজস্বী বলিয়া থাকেন, তঁহার অন্তরে ক্ৰোধ নাই ; ইহা সুনিশ্চিত । মাৎসৰ্য্য প্ৰেমাভাব নিবন্ধন । মানবপ্ৰেম জন্মিলে মাৎসৰ্য্য আসিয়া মনকে পরীশ্ৰীকান্তর করিতে পারে না । আত্মজ্ঞানোদয়ে মদ-মোহ থাকিতে পাবে না । ভগবৎপ্ৰেম জন্মিলে মানবপ্ৰেম, জীবে দয়া আপনা হইতেই আসে। শিক্ষা ব্যতীত সংযম সন্তবে না, পশুত্ব ঘোচে না । তাই প্ৰাচীনকালের আচাৰ্য্যগণ সপ্তমবর্ষীয় ব্ৰাহ্মণবালকের উপনয়নসাংস্কাব বিধানপূর্বক শিক্ষার ব্যবস্থা করিতেন । উপনয়নকালে বালককে প্রধানতঃ তিনটী প্ৰতিজ্ঞায় আবদ্ধ হইতে হইত। ১ । ব্ৰতঞ্চরিষ্যামি, তত্তে প্ৰব্ৰবীমি । আমি আপনার নিকট প্ৰতিজ্ঞা করিয়া বলিতেছি, আমি ব্ৰত ( ব্রহ্মচৰ্য্যা ) পালন করিব। ২ । তচ্ছকেয়ং তেনৰ্দ্ধ্যা সমিদহমনুতাৎ । সেই ব্ৰহ্মচর্য্যের বলে। ঋদ্ধিমান হইয়া আমি অনুত অর্থাৎ মিথ্যা হইতে উত্তীর্ণ হইব। ৩ । সত্যমুপৈমি স্বাহা । আমি সত্য লাভ কৰিব। পুরাকালে ছাত্রবৃন্দ, সংযমী আচাৰ্য্যগুরুর নিকট শিক্ষা-দীক্ষা পাইয়া, ংযমী, চরিত্রবান হইতেন।