পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ ܓ ܘ ܓ বৰ্ত্তমানকালে সমাজের কল্যাণকামী, পরিণামদশী, বিজ্ঞ শিক্ষকগণও বোধ হয় ছাত্ৰাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিয়া থাকেন। —আমরা তোমাদিগকে সাদবে। মুহিবান করিয়া বলিতেছি, তোমরা প্ৰত্যেকে এই প্ৰতিজ্ঞ। তিনটী স্বর্ণক্ষিরে হলদিয় গ্রন্থে লিখিয়া রাপ এবং সর্বপ্রযত্নে পালন কর । ভগবান তোমাদের মঙ্গল বিধান করিবেন! প্ৰতিজ্ঞ করা ১ । ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন করিব । সম্যকরূপে ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন করিয়া প্ৰকৃত ধৰ্ম্ম ও জ্ঞান লাভ করিব । ২ । মিথ্যাকে সৰ্ব্বগা বৰ্জন করিব । ৩ । সত্যের সেবা কবিব । সত্য স্বরূপ ব্ৰহ্মকে লাভ করিব । কেবল এইরূপ প্ৰতিজ্ঞাই যথেষ্ট নিচে । ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালনের ব্যবস্থা করা চাই। ছাত্ৰাদিগকে পথ দেখাইয়া, সেই পথে চালাইতে পারিলেই তাহাদের চরিত্রগঠন সহজ হইবে । কামক্রোধাদিরিপু দমন করিবার সুন্দর সুন্দর উপদেশ ও উপায় শাস্ত্ৰে বিস্তারিতভাবে লিখিত আছে। কিন্তু সাধুসঙ্গ লাভ অতি উত্তম উপায় । সাধুদৃষ্টাস্তে রিপ দমন ও চরিত্র গঠন সহজে চয় । ছাত্রের পক্ষে দীর্ঘকাল সংশিক্ষকের সহবাসই সাধুসঙ্গ। সংযমী, ব্ৰহ্মনিষ্ঠ গুরুর শিক্ষাধীন থাকিয়া ছাত্ৰ কৃতাৰ্থ হইতে পারে। সুচরিত্র বিদ্বানগণ নিঃস্বাৰ্থভাবে, পিতৃস্থানায় হইয়া, তরলমতি বালকদিগকে সঙ্গে সঙ্গে রাখিয়া, মানুষ করিবার ভার গ্রহণ করিলে তাহাদের মহা উপকার হইবে। প্ৰাচীনকালে, শিক্ষাকালয় ও শিষ্যালয় এক, অভিন্ন ছিল । যিনি শিক্ষাগুরু। তিনিই দীক্ষাগুরু হইতেন । কিন্তু এখন এরূপ ব্যবস্থা সম্ভবপর কি? সেকালের ব্ৰহ্মচর্য্যের ব্যবস্থা এ যুগে সময়োচিত হইবে কি ? ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও বিলাসিতায় অহি-নকুল সম্বন্ধ। এই বিলাসিতার দিনে,