পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মসংযম । ܣܘ ܘ সভ্যতার যুগে, সেকালের ব্রহ্মচর্য্যের কথাটা সভ্যতাভিমানী যুবক দল প্ৰলাপবাক্য বলিয়া হয়ত উড়াইয়া দিবেন। শিল্প-বিজ্ঞানের প্রসাদে, পৃথিবীময় সুথসৌখিনতার দিন দিন শ্ৰীবৃদ্ধি, দিন দিন নিত্য-নূতন বিলাসদ্রব্যের সৃষ্টি ও আমদানি হইতেছে । ঘরে ঘরে বিলাসিত প্ৰবেশ করিয়াছে। কালের গতি রোধ করিবে কে ? কেন আমরা বিলাসিতা বৰ্জন করিয়া সুখে বঞ্চিত হইব ? কেন আমরা শুকান কাঠ হইতে যাব ? ব্ৰহ্মচর্য্যে লাভ কি ? এই প্রশ্নের উত্তর মহাষি পতঞ্জলির যোগসূত্রে পাওয়া যায়,- “ব্ৰহ্মচৰ্য্য-প্ৰতিষ্ঠায়াং বীৰ্য্যলাভঃ ।” ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনের ফল-বীৰ্য্যলাভ । যেহেতু আমরা বিলাসিতায় মজিয়া, অলস অকৰ্ম্মণ্য হইয়া দিন দিন বল-বীৰ্য্যহীন হইতেছি, অতএবই আমাদের বিলাসিত বর্জন ও 31% 55fr?if Gir garffig Dyfrge]]<s i ”Chastity is Life, sensuality is Death,’ পবিত্ৰতরক্ষণে ও বীৰ্য্যধারণে জীবন, ইন্দ্ৰিয়পরতায় মরণ । বদমেজাজ ইন্দ্ৰিয় ও মনের বদ-মারজিপালনই ইন্দ্রিয়পরতা ও বিলাসিত । ইন্দ্ৰিয়সেবার ফল দুর্বলতা। সংযমে শক্তির উপচয়, অসংযমে ক্ষয় । দেহ, মন ও মস্তিষ্কের বল কমিতে থাকিলেই শুষ্ককাষ্ঠ হইতে হইবে। পক্ষান্তরে, দেহের রস-বীৰ্য্যধারণ ও মনের পবিত্রতাসাধনই ব্ৰহ্মচৰ্য্য। ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনে সবল-সরস, সতেজ-সজীব বৃক্ষ হইতে °iाशा शाझ । f আচার-ব্যবহার ও আহার-লিহারাদি সম্বন্ধে প্ৰতিনিয়ত কতকগুলি সুনিয়ম পালন করিয়া দেহকে সুস্থ, মনকে পবিত্র ও চরিত্রগঠন করা ব্ৰহ্মচর্য্যের উদ্দেশ্য। একাৰ্য্য প্ৰথম প্ৰথম ক্লেশকর বলিয়া বোধ হইতে পারে, কিন্তু একবার অভ্যাস জন্মিলে আর তােত কষ্টকর হইবে না ।