পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟ ‘সজ্জনৈঃ সঙ্গতং কুৰ্য্যাৎ ধৰ্ম্মায় চ সুখায় চা।” হিতোপদেশ । হবে পুণ্য, পাবে সুখ, কর সাধুসঙ্গ। -. এ দেশে সাধু-সন্ন্যাসীর অভাব নাই। অভাব নাই বলিয়াই প্রকৃত সাধু বাছিয়া লওয়া বড় মুস্কিল। গৈরিকবসন, রুদ্রাহ্মমালা, কমণ্ডলু, লৌহদণ্ড, ভালে তিলক, গায়ে নামাবলী, অথবা ঈদৃশ কোন বিশেষ ধৰ্ম্মচিহ্নে চিহ্নিত ব্যক্তিই এদেশে “সাধু নামে পরিচিত। সুচরিত্র ব্যক্তি সাধুনামের যোগ্য হইলেও, সংসারী হইলে, লোকে তঁহাকে “সাধু বলিয়া ডাকে না। কিন্তু বাস্তবিক যিনি পূতচরিত্র, ধাৰ্ম্মিক, যিনি সৰ্ব্বদা সৎপথে বিচরণ করেন, সন্ন্যাসী হউন বা সংসারী হউন, তিনিই সাধু। গৃহীর পক্ষে গৃহীসাধুর সঙ্গ সুলভ, সন্ন্যাসীসাধুর সঙ্গ দুর্লভ। সংসারে থাকিয়া যাহারা সুচরিত্র, সত্যপ্রিয়, ন্যায়বান, তাহদের সহবাস প্ৰত্যেকেরই বাঞ্ছনীয়, এবং অসতের সংসর্গ সৰ্ব্বথা বৰ্জনীয়। উন্নতচেতা বলবান ব্যক্তির সহবাস, হীনচিত্ত দুৰ্ব্বলের পক্ষে বিশেষ লাভজনক । সৎসঙ্গের উপকারিতা ও অসৎসঙ্গের অপকারিতা বহু গ্ৰন্থাদিতে বর্ণিত আছে এবং ইহা প্ৰত্যক্ষালব্ধ। কত অসৎ লোক সৎসঙ্গের গুণে