পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । سراہم মতি বালকের তাহা নাই । বিশেষ পরীক্ষা করিয়া’ সঙ্গী दांछिा व्श्ड्ठ হয়, কিন্তু বালকেরা এত কষ্ট স্বীকার করিতে চায় না । তাহারা কে ভাল, কে মন্দ বিচার করে না; সঙ্গী পাইলেই তাহার সঙ্গে মিশে। এবিষয়ে পিতামাতার বিশেষ দৃষ্টি থাকা দরকার। সন্তানদিগকে যার তার সঙ্গে মিশিতে, খেলিতে ও বেড়াইতে দেওয়া কোনক্রমেই সঙ্গত নহে । অভিভাবকহীন যুবকেরা স্বয়ংই সঙ্গ নির্বাচন করিতে বাধ্য হয়। তাহাদের কৰ্ত্তব্য যে, যে সকল যুবক সৎ বলিয়া সুপরিচিত হইয়াছেন, প্ৰশংসাপত্ৰ পাইয়াছেন, কেবল তাহদের সঙ্গ লাভ করা। অনেক খলপ্ৰকৃতির লোক ধনীঘুবকের বন্ধুত্ব কামনা করিয়া থাকে; বাহিরের 'মধুর ব্যবহার ও মিষ্টকথায় ভুলিলেই ঠকিতে হইবে। দুষ্ট মানবের মিষ্টকথা, ঘনায়ে বসে কাছে। কথা দিয়ে কথা নেয়, পরাণে বধে শেষে।” ৷ খলের ব্যবহার এইরূপই বটে। “খলের পীরিত জলের রেখা । নিতান্ত অস্থায়ী, কিছুই নয়। সংসারে ‘বিষাকুন্ত-পয়োমুখ” বন্ধুর অভাব নাই! উপরে, মুখে অমৃত থাকুক, কিন্তু ভিতরে বিষ আছে কি অমৃত আছে, তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখা বুদ্ধিমানের কাৰ্য্য। অনেক সময় উত্তম সঙ্গী পাওয়া যায় না। উত্তম সঙ্গী না জুটিলে একাকী নিৰ্জনতার মধ্যে থাকা শতগুণে শ্ৰেয়ঃ । কিন্তু ক্ষণকালের জন্যও অসৎসঙ্গে থাকা কৰ্ত্তব্য নয়। সাধারণতঃ উত্থান বহু-আয়াসসাধ্য, পতন অযত্নলসুভ। উত্থান সময়সাপেক্ষ, পতন মুহুৰ্ত্ত মধ্যে সম্ভাব্য। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, দেহের সঙ্গে আমাদের মনটাকেও যেন মাটির কাছে, নীচে টানিয়া রাখিতে চায়। অসৎসঙ্গ পৃথিবীর এই কাৰ্য্যে যথেষ্ট সহায়তা করে। ক্ষণকালের মধ্যে মানুষের অধঃপতন ঘটাইতে পারে। কিন্তু সাধুসঙ্গ—মনের ব্যোমযান; মানুষকে উদ্ধে লইয়া যায়।