পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুসঙ্গ । SqSʻq করিতে পারিলেই গ্রন্থাধ্যয়ন সার্থক। কিন্তু অনেকেই স্বাধীনচিন্তায় বঞ্চিত। আমরা সকল বিষয়েই অল্পে তুষ্ট। কিন্তু “অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী”। অল্পজলের সফরীমৎস্য নিশ্চয়ই অনুপাদেয়, শ্লেষ্মাকারক। পক্ষান্তরে, অগাধ জলের রোহিতমৎস্যের মস্তক কেমন উপাদেয় ও উপকারক । বাস্তবিক সাদবিদ্বান সমাজের পরম হিতকারী। অল্পবিদ্যা তেমনি অপকারী । ‘বিদ্যা কামদুঘা ধেনুঃ” । বিদ্যা কামধেনু । ইহার নিকট যাত চাওয়া যায়, তাছাই পাওয়া যায়। কিন্তু ইহার নিকট না চাই ধৰ্ম্ম, না চাই চবিত্ৰ, না চাই মোক্ষ । চাই কিঞ্চিৎ অর্থ । ইহাতেই আমরা হসষ্ট । বাঙালীর চরণ আছে, চলন নাই ; নয়ন আছে দর্শন নাই ; মস্তিষ্ক আছে, আবিষ্কার নাই । বাঙালী ছাত্ৰ প্ৰতীচ্য সভ্যজাতির সহিত প্ৰতি যোগী পরীক্ষায় উচ্চস্তান অধিকার করিয়া মস্তি স্ক ও অধ্যয়নক্ষমতার পরিচয় দিয়া থাকেন বটে, কিন্তু কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া আর তুল্যযোগিতা রক্ষা করিতে পারেন না । ইদানীং যে সকল অভিনব তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে ও হইতেছে তাহার কোনটাতে বাঙালীর কৃতিত্ব ? দর্শনে, বিজ্ঞানে, শিল্পে কিছুতেই নয়। অবশ্য শ্ৰীমান জগদীশচন্দ্ৰ কৃতিত্বের বিলক্ষণ পরিচয় দিয়াছেন। তিনি বাঙালীর গৌরব, সন্দেহ নাই। কিন্তু তাহার। প্ৰদৰ্শিত পথের পথিক কয়জন ? পাদচারণে যেমন পদশক্তি বাড়ে, সেইরূপ নিজের চক্ষে বস্তু পৰ্য্যবেক্ষণে ও পরীক্ষণে দর্শন ও মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়। পরকীয় চিন্তাপ্ৰসূত গবেষণাপূর্ণ গ্ৰন্থ এ বিষয়ে সহায়মাত্র। কেহ কেহ বলেন, —মুমূর্ষুৰ্দশায় উপনীত স্থবিরের নিকট আমরা যেমন বড় একটা প্ৰত্যাশা করিতে পারি না, সেইরূপ স্থিতিগীল প্ৰাচীন সম্প্রদায়ের নিকট আমাদের কোন আশা নাই। তাহারা প্ৰাচীনতা লইয়া বিব্রত '