পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2jञ्जा ७ मशास्न । مالاج তাহারা, “আবৃত্তি: সৰ্ব্বশাস্ত্রানাং বোধাদপি গরীয়সী”, শাস্ত্রের জ্ঞান অপেক্ষাও আবৃত্তিকে শ্রেষ্ঠ মনে করিয়া আবৃত্তিতেই সন্তুষ্ট। তত্ত্বানুসন্ধানে নিশ্চেষ্ট । নব্যসম্প্রদায়ের উপরই সমাজের আশা ভরসা । কিন্তু ইছারাও যখন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার জন্য কেবল পাঠ্যতালিকানির্দিষ্ট পুস্তক কয় খানির সহিত সংস্রব রাখিয়া, ‘আবৃত্তিঃ সৰ্ব্বশাস্ত্রানাং বোধাদপি গরীয়সী’, এই ভাবই প্ৰদৰ্শন করেন, কেবল আবৃত্তিকেই সার বলিয়া বোঝেন, তখন কোন সহৃদয় সামাজিকের মনে আঘাত না লাগে ? অবশ্য অর্থ বুঝিয়া, মন্মজ্ঞ হইয়া আবৃত্তি করা যে উত্তম, তাছা কে অস্বীকার করিবে ? শঙ্করাচাৰ্য্য যেমন সমগ্ৰ বেদ কণ্ঠস্থ করিয়াছিলেন, তেমনি অর্থগ্রহণেও অলৌকিক বুদ্ধির পরিচয় দিয়াছেন । ইহা অতীব প্ৰশংসার কথা । - বিনা দোষে বন্ধুত্যাগ যেমন বন্ধুব আকৰ্ত্তব্য, গ্ৰন্থ ত্যাগ ও তেমনি নির্বোধের কৰ্ম্ম । “অত্যাগসহ নো বন্ধুঃ' বন্ধুবিয়োগ বন্ধুর অসহ্য । গ্ৰন্থকে যদি আমরা যথার্থই বন্ধু বলিয়া মনে করি, তবে তাহাকে নিজে ইচ্ছা! করিয়া কোন প্ৰাণে বিদায় দিতে পারি ? যে বন্ধু আমাদের অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়াছে, এবং সৰ্ব্বদাই করিতে প্ৰস্তুত, তাহার অনাদর করা কৃতগ্নতা । যে গ্ৰস্থ আমার অন্ন সংস্থানের উপায় করিয়া 怀可忆豆, যার প্রসাদে আমি চাকরি পাইয়া টাকার মুখ দেখিতে পাহিতেছি, সুখের দিন আসিতেই যদি সেই উপকারী বন্ধুকে একেধারে ভুলিয়া যাই, তবে সে রাগ করিয়া বলিতে পারে- “যার প্রসাদে রামের মা, তারে তুমি চিনলে না”। তুমি অকৃতজ্ঞ, আর তোমার উপকার করিব না। গ্রন্থের সহিত চিরকাল বন্ধুত্ব রক্ষা করা বিজ্ঞের কাৰ্য্য। শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রেরই নিজের একটি পুস্তকাগার থাকা আবশ্যক। গ্ৰন্থহীন গৃহ আর আত্মাশূন্য দেহ উভয়ই তুল্য। সদ্যগ্ৰন্থরাশি মানসিক ও আধ্যাত্মিক