পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्ले5छ । SS)> যাহাতে মহৎ ও সুইচ্ছা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে পারে, তাহার সদুপার বিধান করা আবশ্যক । এ দেশে সচরাচর লোকমুখে শুনিতে পাওয়া যায়, “কৰ্ম্মানুসারিণী বুদ্ধিঃ।” কম্মেই বুদ্ধিকে চালায়, পূৰ্ব্বজন্মে যেরূপ কৰ্ম্ম করা হইয়াছে, তদনুসারেই এ জন্মে লোকের বুদ্ধি জন্মিয় থাকে। যাহারা পূৰ্ব্বজন্ম মানেন না, তঁহাদের একথায় আপত্তি আছে ; কিন্তু ইচ্ছানুসারি কৰ্ম্ম, কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম।” একথা বোধ হয় সকলেই স্বীকার করবেন। " যদি ইচ্ছাকে বরণ করিতে হয়, তবে বড় ইচ্ছাকেই বরণ করিব । ছোট ইচ্ছাকে কেন ? যদি জন্তু শিকার করিতেই হয়, তবে হাতী শিকারই করিব । এ কাৰ্য্যে যথেষ্ট পৌরুষ ও লাভ আছে । শত শ মাছি শিকারে কি ফল ? মাছি মারিলে হাত কেবল কালই হয়। এ পৃথিবীতে অনেক জ্ঞান ও সুখের ভাণ্ডার রঙ্গিয়াছে, তাহা অধিকার করিতে চেষ্টা করিব। অন্নজ্ঞানে, অল্প সুখে কেন সন্তুষ্ট থাকিব ? ইচ্ছা বড় হইতে হইতে এতই বড় হইতে পারে যে, তখন আর এই জড় পৃথিবী ইহাকে ধরিয়া রাখিতে পারে না, এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতে ইহার স্থান হয় না ; তখন সে অনন্ত চিন্ময়রাজ্যে ছুটিয়া যায়। তখন পার্থিব রসে আর তাহার তৃপ্তি হয় না, অমৃতের অনুসন্ধানে ধায়। অতৃপ্ত বাসনা লইয়া উদ্ধে অনন্তের পানে চাহিয়া যখন আমরা অনুভব করিতে পারিব—“ভূমৈব সুখং নাল্পে সুখমস্তি’ । বাড়তেই সুখ, অল্পে সুখ নাই, মহত্ত্বেই সুখ, ক্ষুদ্রতায় সুখ নাই। যখন বুঝিব, ভূমা ভগবান অনন্তসুখের উৎস, যখন আমাদের ক্ষুদ্র প্রাণ সেই প্ৰাণের প্রাণ, পূর্ণ মহানকে সত্যসত্যই চাহিবে, তখন আমরা তঁহারই রূপায় অমৃতের অধিকারী ३छ्रेद । ইচ্ছাময় নারায়ণ আমাদিগকে ইচ্ছা দিয়াছেন এবং সেই ইচ্ছা তিনিই