পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 পূজা ও সমাজ । নিজের চৌদহাজার টাকা গণিয়া রাখিয়া বাকি এক লক্ষ টাকা রাম দুলালকে দিয়া বলিলেন—‘এই টাকা তোমার প্রাপ্য। তোমার সততার পুরস্কার’। ধন্য মনিব, ধন্য চাকর। এখন হইতে রামদুলাল স্বাধীনভাবে ব্যবসা করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। সততার ফলে ক্রমেই উন্নতি হইতে লাগিল। তিনি কয়েক খানি জাহাজ কিনিলেন ও আমেরিকার সহিত বাণিজ্য আরম্ভ করিলেন। এই প্রকারে তাহার বিস্তর লাভ হইতে লাগিল । তিনি বিপুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হইয়া অসংখ্য দান করিয়া এক কোটীর অধিক টাকার সম্পত্তি রাখিয়া পরলোকে গমন করেন । সাধু শব্দের এক অর্থ বণিক বা সদাগর । পূর্বে বণিকদিগের নামের সঙ্গে সাধু শব্দ যোজিত হইত । আজকাল আমরা ব্যবসায়ীদিগকে যদি তদীয় কাৰ্য্য দ্বারা সাধু বলিয়া বিশ্বাস করিতে পারি, তবে সমাজ্যের প্রভূত উপকার হইবে। আগে বিনা খতে, বিনা সাক্ষীতে, নিরক্ষর নিম্ন শ্রেণীর লোকদিগকেও অনেক সময় টাকা ধার দেওয়া হইত। ইহারাও কথামত সুদ সহ যথাসময়ে টাকা শোধ দিত। মুখের কথায় হাজার হাজার টাকার কাজ হইত, কারবার চলিত | প্ৰায় কেহই বিশ্বাস বা সত্য ভঙ্গ করিত না । কিন্তু “তে হি নো দিবসা গতাঃ” । সেই দিন আমাদের চলিয়া গিয়াছে। এখন আর কেহ কাহাকে বিশ্বাস করিতে চায় না। আমরা নিজকেই নিজে বিশ্বাস করিতে পারি। না । কেন এমন হইল ? ভগবানের প্রতি ভক্তি-বিশ্বাস, ধৰ্ম্মভয় চলিয়া গেলে বা কমিতে থাকিলে সমাজ লৌকিক সত্যে অবহেলা করিয়া অধোগামী হয় । অবিশ্বাসের ফলে, ভাণ-ভণ্ডামি, ছল-চাতুরি প্রভৃতি মিথ্যার যত প্ৰকার ভেদ আছে, সব গুলি একত্রে আসিয়া সমাজকে কলঙ্কিত করে। মিথ্যাবলী