পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGło श्रृऊा ७ लगाऊ ! অ ৰ্য্যসমাজে প্ৰথম শ্রেণীর নাম ব্ৰাহ্মণ, দ্বিতীয় শ্রেণীর নাম ক্ষত্ৰিয়, তৃতীয় শ্রেণীর নাম বৈশ্য, ও চতুর্থ শ্রেণীর নাম শূদ্র । প্ৰকৃতপক্ষে ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশ্য, শূদ্র সকল সমাজেই বৰ্ত্তমান আছে ; কেবল নামমাত্র - ভেদ ; অথবা চান্নাভাব । ঈশ্বরের এমনই বন্দোবস্ত যে সৰ্ব্বকালে সৰ্ব্বদেশে ইত্যার অন্যথা पूछे श् न। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়াছেন, ‘চাতুৰ্ব্বৰ্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকৰ্ম্মবিভাগশ: ||” আমি ব্ৰাহ্মণাদি চারিবর্ণ, গুণ (সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ) এবং কন্মের বিভাগ অনুসারে সৃষ্টি করিয়াছি । আমি ( ঈশ্বর ) এমন নিয়ম করিয়া রাখিয়াছি যে, সকল সমাজেই এই চারি শ্রেণীর লোক' বৰ্ত্তমান থাকিবে । সকল সমাজই শক্তি ও প্ৰবৃত্তি বশে প্রধানতঃ এই চারি শ্রেণীতে বিভক্ত দেখিতে পাওয়া যাইবে । এই শ্রেণীবিভাগ ঐশ্বরিক বা স্বাভাবিক । ইহার পরে যাহা, তাহা কৃত্রিম, মনুষ্যকৃত । এ সম্বন্ধে অন্যান্য সমাজ হইতে - হিন্দু সমাজের প্রভেদ এই যে, হিন্দু সমাজের শ্রেণীবিভাগ বংশপরম্পরায় আবদ্ধ, অন্যান্য সমাজে সেরূপ নহে । শির-শিরা-কণ্ঠ-কেশ- অস্থি-চৰ্ম্ম-নখ-রোম প্রভৃতি লইয়া মানুষের শরীর । সব লইয়া এক । জীবিত ও সুস্থ মানুষের দেহ-যন্ত্রের ক্রিয়া অতি সুশৃঙ্খলার সহিত সুন্দর নিয়মে নির্বিরোধে চলিতে থাকে । অঙ্গে অঙ্গে, শিরায় শিরায়, সমস্ত শরীর ব্যাপিয়া, একটা প্ৰাণশক্তির ক্রিয়া দেখিতে পাওয়া যায়। শরীরের যে কোন অংশে যখনই সামান্য একটু আঘাত লাগে, তখনই সমস্ত শরীরে কেমন একটা অস্বাচ্ছন্দা, উদ্বেগ অনুভূত হইয়া থাকে। একটী সামান্য অঙ্গাবয়বেরও যদি অভাব ঘটে, তবে সমস্ত কলেবর বিকল, অপূৰ্ণ, অভাবগ্ৰস্ত বলিয়া বোধ হইতে থাকে । প্ৰত্যেক অঙ্গেরই উপযোগিতা আছে, নিম্পয়োজনে কাহারো স্বষ্টি হয় নাই, এবং প্রত্যেকেই স্বস্থানে থাকিয়া সুন্দর। কিন্তু