পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ACO श्रृऊा ७ नभाछ বিষম অনৈক্য। সামান্য কাল্পনিক স্বার্থের সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর বিশ্বেৰীফ জলিয়া উঠে। ইহার মুলে প্রেমের অভাব। বাঙালী বাঙালীকে আপনার জন বলিয়া ভাবিতে শিখে নাই, ভালবাসিতে শিখে নাই । এই টুকু শিখা চাই। প্রত্যেক বঙ্গবাসী আমার, আমি প্রত্যেক বঙ্গবাসীর, এই ভাবটা সকলোেব মনে জাগিলে শিক্ষা চরিতার্থতা লাভ করিতে পারে । আজকাল ব্ৰাহ্মণ ও ব্ৰাহ্মণেতার জাতির মধ্যে সামাজিক পদ-গৌরব লইয়া একটা কৃত্রিম যুদ্ধাভিনয় চলিতেছে। কায়স্থ, গোপ প্ৰভৃতি জাতি পৈতা গ্ৰহণ করিয়া উন্নতির পথে চলিতে বিলক্ষণ চেষ্টা করিতেছে । তাহারা দেখিতেছে—ব্রাহ্মণগণ পৈতার বলে সমাজে সম্মান অৰ্জন করিতেছেন। কায়স্থ কুল ক্ষত্ৰিয়ের সন্তান, তাহারা কেন যজ্ঞসূত্ৰ মাত্ৰ অবলম্বনে সম্মানের দাবী করিবেন না ? গোপ প্ৰভৃতি জাতিও বৈশ্যংশধর,-"তাহারাই বা কেন পৈতা গ্ৰহণ না করিবেন । পিতৃমাতৃবিয়োগে কেন একমাস অশৌচ ভোগ করিয়া এত ক্লেশ স্বীকার করিবেন ? এত দীর্ঘকাল অশৌচ পালন করা বিড়ম্বনার একশেষ ! বরং পঞ্চদশ দিবসের পর ‘অশৌচান্তাৎদ্বিতীয়েই হি’ বলিয়া শ্ৰাদ্ধাদি সমাপন করিয়া শুদ্ধ হতে পারেন। ইত্যাদি অতি উৎকট সামাজিক সমস্যাই গ্ৰাম্য সামাজিকগণের আলোচনা ও গবেষণার বিষয় হইয়াছে। ব্ৰাহ্মণেরা ইহার বিরোধী। সুতরাং সমাজমধ্যে একটা অস্বাভাবিক বলক্ষয়কর অন্তর্বিপ্লব চলিতেছে। একদিন ব্ৰাহ্মধন্মের বন্যায় ব্ৰাহ্মণের পৈতা ভাসিয়া যাইতেছিল, এখন সেই পৈতাকেই, সেই ত্ৰিগুণ-ত্রিসূত্ৰকেই উন্নতির সূত্ররূপে লোকে কণ্ঠহার করিবার জন্য ব্যস্ত ! আহা ! কালন্ত কুটিলা গতিঃ ! ধৰ্ম্মরাজ যুধিষ্ঠির জীবিত থাকিয়া এ অবস্থা দর্শন করিলে, তিনি বোধ হয় অবাক হইয়া বলিয়া