পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(65.5 RCS ' গলা' তাহা গিলিয়া উদরেব কাছে উপস্থিত করে, উদর বসিয়া বসিয়া বিনাশ্ৰমে ভোগ করে। ইহাতে উদরের কেমন পূৰ্ত্তি ও স্মৃত্ত্বি ! ইহারা সকলে মিলিয়া মন্ত্রণা আঁাটিল, ব্যাটাকে জব্দ করিতে হইবে ; আমরা কেহই আর ওর কাজ করিব না ; এই বলিয়া সকলেই একযোগে নিজ নিজ কাজে বিরত হইল। ইহাতে উদর বেচারার যে দশা, হস্তপদাদিবও সেই দশা, অবশেষে শোচনীয় মৃত্যু। আত্মদ্রোহিতার পরিণাম ফল মৃত্যু। আমরা জানি ও বলি ‘ন দুঃখং পঞ্চাভিঃ সহ” । কিন্তু পাচ জনে মিলিয়া একটা মহৎ কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান আরম্ভ করিলে, পাচ জনের পাচ মত, অনৈক্য, অমনি আরব্ধ কৰ্ম্মের পঞ্চােত্বপ্ৰাপ্তি, পাচে পাঁচ। “দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ” দশে মিলিয়া কোন কাজে হাত দিলে, যদি কোন বিপদের আশঙ্কা হয়, তবে অমনি “চাচা আপন র্যাচা” বলিয়া আমরা সকলেই নিজ নিজ পথ। খাজি বক্তা বক্তৃতামঞ্চে উঠিয়া বক্তৃতা দিয়া থাকেন—হিন্দু পাতাগণ । তোমাদেব সকলেরই ত এক ভাষা, এক ধৰ্ম্ম, এক স্বাগ । তোমরা সকলে একমত হও । এক হও । ভাই মুসলমান ! তোমার ও হিন্দুর সমান স্বাৰ্থ, সমান সুখ-দুঃখ । বঙ্গভূমি হিন্দুব জননী, তোমার ও জননী। তোমরা সকলেই এক মায়ের সন্তান। একই গ্রামে, নগরে, সমগ্ৰ বঙ্গদেশে তোমাদের একত্ৰ বসতি। তোমরা একই জলাশয়ে স্নান, একই নদীর জলপান, একই ক্ষেত্রের শস্ত ভোগ করিয়া আসিতেছ। হিন্দু ও তোমার মধ্যে একমাত্র ধৰ্ম্মেই বিভিন্নতা দেখা যায় সত্য, কিন্তু তাঙ্গাতেও কি ঐক্য নাই ? তুমি যে বিশ্বরাজ্যের রাজার উপাসনা কর, হিন্দুও তঁহারই পূজা করে। প্রার্থনা এক, ভাবনা এক, উপাস্ত এক । কেবল মন্ত্রের ভাষা ও ভজন-প্ৰণালী ভিন্ন । তোমরা অকারণ