পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sዓ e পূজা ও সমাজ । তৃণ অপেক্ষাও নীচ, তিরুর ন্যায় সহিষ্ণু, মানশূন্য ও মানপ্ৰদ হইয়া, সদাকাল হরি কীৰ্ত্তন করিবে । এ কথার সঙ্গে পূৰ্ব্বোক্ত কথার মিল কোথায় ? নারায়ণ অনন্ত-শক্তি, আমি অতি ক্ষুদ্র শক্তি, অনন্তশক্তির কাছে, আমার শক্তি তুচ্ছ, আমি তৃণ হইতেও হীনশক্তি। নারায়ণ আমাকে যত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে ফেলিয়া রাখুন না কেন, আমি অমানবদনে সহ্যু করিব। নারায়ণ যিনি জগং পূজা, তাহার প্রতি ভক্তি সম্মান দেখাইব, তাহার পূজা করিব, তাহার কাছে আবার আমার মান কোথায় ? এই প্ৰকার ভাব লইয়া ভগবানকে ভজিব। ভগবানের সেবায় এই ভাব, কিন্তু সংসার ক্ষেত্রে এই দৈন্য কাপুরুষোচিত । আমি দীনহীন, অধম-অক্ষম, এইরূপভাবে মনের মধ্যে সর্বদা জাগিতে থাকিলে, মানুষের কৰ্ম্মক্ষমতা ও পুরুষত্ব ক্ৰমে লোপ পায়। আর, যে পৰ্য্যস্ত ভগবানে সম্পূর্ণ, নির্ভর করিতে না পারা যায়, সে পৰ্যন্ত আত্ম নির্ভব থােক। আবশ্যক। " আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন । পাঠ্যাবস্থা অতিক্রম করিয়াই দলে দলে উমেদার দল তীর্থযাত্রীর ন্যায় বিদেশ-যাত্রায় বহির্গত হয়। বিদেশ বলিতে নিজের জেলা বা পার্শ্ববৰ্ত্তী দুই একটী জেলাই বুঝায়। কাহারো কাহারো প্ৰতি লক্ষ্মী এমনই অপ্ৰসন্ন যে,-অনাথ কুকুরেব ন্যায়, ইহাদের ‘ভোজনং যত্র কুত্ৰাপি শয়নং হট্টমন্দিরে” । ভোজন, এখানে-ওখানে, শয়ন হাটের দোকানঘরে । আজকাল অনেকেই ঘরের বাহির হইয়া চাকরি করিতে শিখিয়াছে বটে, কিন্তু সকলেই পদস্থ হইতে পারে না। কেহ কেহ যৎসামান্য চাকরি করিয়া দিন যাপন করে, স্ত্রীপুত্ৰাদি সঙ্গে রাখিতে পারে না ;