পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ-Հ পূজা ও সমাজ । দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া মুড়ী-মুড়কী-মিঠাই বেচিয়া, অথবা এইরূপ ক্ষুদ্ৰকৰ্ম্ম করিয়া, কিম্বা চাকরি করিয়া কোন সমাজই বড় হইতে পারে না । ভীৰুতা ও স্ত্ৰৈণত । আমরা যে ভীরু সেই সাটিফিকেট আমরা অনেক দিন পাইয়াছি ॥৮ বড় কৰ্ম্ম করিতে গেলেই সাচুসের প্রয়োজন । সাহসের কৰ্ম্মে ভার” কেবল বিপদ গণে, সুতরাং বিরত থাকে, বড়ও হঠতে পারে না । আমাকে ভীরু-অলস বলিলে তত দুঃখ হইবে না, কিন্তু স্ত্ৰৈণ বলিলে গালি মনে করিয়া রাগ করিব । এ অবস্থায় কে কারে স্ত্ৰৈণ বলিতে, যাবে ? কিন্তু এ কথা সত্য যে, দুর্কলের প্রতি কাম বিলক্ষণ বলপ্ৰকাশ করে এবং কামে স্ত্রীপরায়ণতা জন্মে। লোক কামান্ধ হইলে কৰ্ত্তব্যজ্ঞান, হারায়, হীনশক্তি হইয়া পড়ে, সুতরাং বড় হইতে পারে না । বিদেশগমন-বিমুখত । আজকাল বিদেশ ও সমুদ্রের নানে আমাদের মনে আতঙ্ক হয় না। বটে; কারণ, আমরা ভূগোল পড়িয়া পৃথিবীর অনেক দেশ ও সমুদ্র কণ্ঠস্থ করিয়াছি । মানচিত্রেও সে সব দেখিয়াছি। কিন্তু বাস্তব সমুদ্রের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করিতে, সুদূর দ্বীপে যাইতে প্ৰাণ কঁপে। বাড়ী-মুখো বাঙালী, এ কথা আমাদের মুখেই শুনিতে পাই। বাস্তবিক হিন্দুর বাড়ী বড়ই শান্তিপ্রািদ । আমরা যাহাতে এই সুখে বঞ্চিত না হই, সেই জন্যই বোধ হয় প্ৰাচীন তন্ত্রের লোকেরা শাস্ত্রের দোহাই দিয়া, জাতি, যাওয়ার ভয় দেখাইয়া সমুদ্রযাত্রা নিষিদ্ধ বলিতেছেন। যাহা হউক, নানাদেশ পৰ্য্যটনে, আলো ও বায়ুর সাহায্যে চক্ষু ته ফোটে, অভিজ্ঞতা জন্মে। বৈদেশিক সমাজের অবস্থা দর্শনে নিজসমাজের