Str8 श्रृंख्l ७ जभाऊ । সেই অভাব দূর করিতে না পারিলে কিছুতেই মনের শান্তি হইতে পারে। না। ক্ষুধা খুব জন্মিয়াছে, কিন্তু ক্ষুধা-নিবৃত্তির জন্য কোন উপায় না করিয়া নিশ্চিন্তু থাকা যায় কি ? সন্তোষ মৃত পান করা যায় কি ? ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে ইহা সম্ভব হইলেও সমাজের পক্ষে অসম্ভব । আমাদের অভাবের অভাব নাই, কিন্তু বলের অভাবই সকল অভিাবের মুখ্য ও মূল অভাব। বড় হইতে হইলে সৰ্ব্বাগ্রে এই মূল আভাবটা দূর করা আবশ্যক। নিজে নিশ্চেষ্ট হইয়া পরের সাহায্যে বড় হওয়ার আশা করা মুর্গত । কৰ্ম্মে আনন্দ ।
- প্ৰফুল্লতা চিত্তের বলাধান, ভগবানের একটা সুন্দর দান । ইহা সংসারে সুখের উৎস ৷ ইত্যার অভাবে কৰ্ম্ম ক্লেশকর ভার বলিয়া বোধ হয় । আনন্দ লইয়া কৰ্ম্ম করিতে হইবে । কৰ্ম্ম করিয়া আনন্দ লাভ করিতে হইবে। ভিতর হইতে যখন আনন্দ উথলিয় ওঠে, তখনই কৰ্ম্মী কৰ্ম্মে প্ৰাণপ্ৰতিষ্ঠা করিতে সমর্থ। আমরা নানা অভাবে চিত্তের সেই প্ৰফুল্লাভাব হারাইতেছি। সুভরাং কৰ্ম্মে বিশেষতঃ পুরুষোচিত বৃহৎ কৰ্ম্মে আনন্দ-স্ফীৰ্ত্তি পাই না।
একই রকমের পৌনঃপুনিক একঘেয়ে কৰ্ম্ম, নিরাশ-নীরস শ্রম, পার-চালিত, অনিচ্ছাকৃত কৰ্ম্ম অপ্রীতি ও আঙ্গিতকার। সব্বদা অনিচ্ছায়, দায়ে ঠেকিয়া কৰ্ম্ম করিলে, সেই অনিচ্ছাকৃত কৰ্ম্ম কেবল দুৰ্ব্বহ ভারবৎ ক্লেশাবহ। কৰ্ম্মে রসানুভব ও আশার সঞ্চার করা কীৰ্ত্তব্য। “বাড়তে বাড়তে বাড়ে কি ? আশা ; কমতে কমতে কমে কি ? আয়ু।” বীণারধ্বনি যেমন কৰ্ণে মধু বর্ষণ করিয়া সমস্ত হৃদয়টাকে নাচাইতে থাকে, সেইরূপ আশার বাণী যাহার হৃদয়কে নাচাইতে পারে, সে কৰ্ম্মে রস পায়। অলস-অকৰ্ম্মাণ্যের এ হেন আশাও কুরাইয়া যায়, আবার
