পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । سراسراج খুটি তৎ স্থানে স্থাপন করা নিতান্ত অৰ্ব্বাচীনের কাৰ্য্য। আবার, বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত অপ্রয়োজনীয় নখাগ্ৰছেদন কালে সম্পূর্ণ নখ বা নখাদ্ধ ছেদন করিলে ক্ষৌরকারের অনিপুণতা প্ৰকাশ পাইবে ও অপরাধ হইবে। ব্যাধির উপশম করিতে যাইয়া চিকিৎসক যদি রোগ নির্ণয় করিতে ভুল করেন ও রোগযন্ত্রণা বুদ্ধির ও অবশেষে জীবন নাশের তেতু হন, তবে তিনি গুরুতর অপরাধে অপরাধী। সেইরূপ সমাজ-শরীরে ব্যাধির উৎপত্তি হইলে ব্যাধির প্রকৃত মূল কারণ নিয়র্ণপূর্বক তাহ সমূলে নিৰ্ম্মল করিতে উদ্যোগী ও যত্নবান হওয়া ধীমানের কার্য্য । সমাজরূপ বিরাটপুরুষের যখনই যে কোন অঙ্গে যে দুষ্ট ব্যাধি আসিয়া আক্রমণ করে, তখনই তাহা, অপনয়ন করিতে চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কৰ্ম্ম । সমাজশরীরের উৎকট জটিল ব্যাধির নিণয়ে ও দূরীকরণে সুচিকিৎসকের সংবিবেচনা, বিচক্ষণতা ও সহানুভূতি চাই । সমাজক্ষেত্রেব। আগাছা উপড়াইয়া ফেলিতে সুকৃষকের সাবধানতা, শ্ৰমশালতা ও কষ্টসহিষ্ণুতার প্রয়োজন। বাগানের জঙ্গল পরিষ্কার করিতে হইবে বটে, কিন্তু দেখিতে হইবে সেই সঙ্গে যেন ফুল ও ফলের গাছ কাটা না যায়। প্রাচীন প্ৰাণীদেহে যেমন রোগের আধিক্য ও প্ৰাবল্য সম্ভাবিত, সেইরূপ প্ৰাচীন হিন্দুসমাজে এমন অনেক মহৎ দোষ জন্মিায়াছে, যাহাব সংস্কার একান্ত আবশ্যক হইয়া পড়িয়াছে। সমাজ-সংস্কার অত্যাবশ্যক। আবশ্যক হাইলেও মানুষের বুঝিবার দোষে কিম্বা স্বাৰ্থহানির আশঙ্কায় কেহ কেহ বা কোন কোন সম্প্রদায় ংস্কার-বিরোধী। কেহ কেহ এবিষয়ে উদাসীন, কেহ কেহ ইহার পক্ষপাতী। বিরোধীদল হয় অজ্ঞ, না হয় স্বাথান্ধ। অজ্ঞতা বা অন্ধতা বশতঃ তাতারা দোষ দেখিতে পায় না, কিংবা দোষকে গুণ বলিয়া বোধ করে । আজন্ম একটা মন্দ জিনিষের সহিত নিত্য পরিচয়ে কেমন একটা ভালবাসা জন্মে। সেই জন্যই দেশ মধ্যে বহুকাল প্ৰচলিত কুরীতি, কুনীতি