পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কার । Հեr S কদাচার প্রভৃতিও সাধারণ লোকের নিকট আদর পাইয়া থাকে। লোকে এগুলিকে সহজে ছাড়িতে চায় না, ছাড়িতে হইলে মৰ্ম্মে আঘাত লাগে। ইহা কুসংস্কার । কুসংস্কার দূর করিতে জ্ঞানই মহৌষধ। পিতামহ ভ্ৰম ক্রমে অমৃত্যুরুক্ষের চারা লাগাইতে বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করিয়া মৰ্ত্ত্যধাম পরিত্যাগ করিলেন। তারপর পিতা বিষবৃক্ষ জানিয়াও হয়ত কাটিতে ভুলিয়া গেলেন। এখন নিজে ঐটাকে সযত্নে রক্ষা করিয়া আসিতেছেন। ভ্ৰাতা বা পুত্র বা অপর কেহ কাটিতে গেলে, এই বলিয়া নিষেধ করেন যে, এই গাছটা বাপ দাদা রক্ষা করিয়া গিয়াছেন, হঁহা তাহদের স্মৃতিচিহ্ন, ইহার প্রতি আমার বড়ই মমতা জন্মিয়াছে। এরূপ যুক্তি অবলম্বন করিয়া বিষবৃক্ষ পোষণ করা মূঢ়ের কৰ্ম্ম নয় কি ? আবার, যাহারা অলস উদাসীন, তাহদের বোধ হয় মনের ভাব এই যে, সময়স্রোতে ভাসিতে ভাসিতে একটা গতি হইবেই । দোষ অ্যাপনা হইতেই শোধরাইয়া আসিবে, আমাদের চেষ্টার কি প্রয়োজন ? কালের গতি ফিরাইতে কে পারে ? তাহারা ইহা মনে করেন না যে, যদিও প্ৰকৃতিতে রোগ উপশম করিবার শক্তি আছে, যদিও পশুপক্ষী সম্পূর্ণ রূপে প্ৰকৃতির নিয়মাধীন থাকে বলিয়া প্ৰবৃতিই তাহদের চিকিৎসার ভার লইয়াছে ; তথাপি, মানুষ স্বাধীনভাবে চলে সুতরাং অনেক আত্মকৃতিবাধিযন্ত্রণা ভোগ করে, এবং ইহার প্রতীকার-চেষ্টা মানুষেরই করা অবশ্যক । নব্যসম্প্রদায়ের লোকই প্ৰায়শঃ সংস্কার কাৰ্য্যে ব্ৰতী । ইহারা বর্তমান সভ্যতার পক্ষপাতী। বৰ্ত্তমান ছাত্রবৃন্দের মধ্যে যাহারা উত্তরকালে সংস্কারক হইবেন, তাহদের সর্বাগ্রে আত্মসংস্কার করা দরকার। তাহারা সকলেই নিজ নিজ পরিবারে সংস্কারকাৰ্য্য সম্পাদন করিলে সমাজ ংস্কার সহজ হইয়া আসিবে। ܘܶ