পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা । so এমন কি দায়িত্বজ্ঞান পৰ্য্যন্ত লোপ করিয়া দিয়াছে। এই গুরু কৰ্ত্তব্যের অপালনে যে গুরু অপরাধ তাহ অন্ধ সমাজের, অজ্ঞ বালিক-জননীর भgई । গৃহ-শিক্ষা । “মা হওয়া কি মুখের কথা ? কেবল প্ৰসব করলে হয় না। মাতা ।” ( রামপ্ৰসাদ ) বাস্তবিক মা হওয়া মুখের কথা নয়। প্রসব করিলেই, অথবা দুই এক বৎসর স্বভাবের প্রেরণায় তিৰ্য্যকজননীর ন্যায় সন্তান-পালন করিলেই, মাতার কৰ্ত্তব্য শেষ হইল না । ইহার অতিরিক্ত কৰ্ত্তধ্য আছে। শিশুর মন অনুকরণ প্ৰবণ। সে প্ৰতিদিন যেরূপ আচরণ চক্ষে দেখে, সেরূপ করিতে ভালবাসে। বাস্তবিক শিশুর জন্মদিন তইতেই শিক্ষাকাৰ্য্য আরব্ধ হয় । শিশু স্তন্যপানের সঙ্গে সঙ্গে মাতার সমগ্ৰ অন্তর-প্ৰকৃতিটাকেও যেন পান করিতে থাকে । তাহার কোমল মনে মাতার দোষগুণ প্ৰস্তর রেখার ধ্যায় চিরতরে অঙ্কিত হইতে থাকে। জননী মুখে উপদেশ না দিলেও তদীয় দৃষ্টান্তের অনুসরণ করিয়া যাহা শিখে, তাহাই শিশুর ংস্কার হইয়া দাড়ায়, এবং এই সংস্কারই কালে অভ্যাসের পরিপাক বশতঃ স্বভাবে পরিণত হয়। মাতার চিন্তা, চরিত্র, ভাব-স্বভাব সন্তানে অলক্ষিতভাবে সংক্রমিত হইয়া থাকে। প্ৰতিদিন প্ৰতিমুহুর্তে শিশু, জননীর নিকট শিক্ষা পাইতে থাকে এবং নিজকে গড়িয়া তোলে। বাড়ীই প্ৰাথমিক শিক্ষার আলয়। এখানেই সর্বপ্রথম শিশুচরিত্র গঠিত হয় এবং উত্তরকালে তাহা সংশোধন বা পরিবর্তন করা বড় কঠিন হইয়া পড়ে। শিশুর কাছে নির্দোষ, উন্নত আদর্শচরিত্র রাখা চাই ৷ জননীই