পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసి পূজা ও সমাজ । तिालाव्लश । শিক্ষার দ্বিতীয় স্থান বিদ্যালয়। মাতাপিত স্বভাবনির্দিষ্ট শিক্ষক হইলেও অযোগ্যতা, অনবকাশ বা অসুবিধা বশত: শিক্ষার জন্য বালককে বিদ্যালয়ে পাঠাইয়া দেন। দীনদরিদ্র চাষাও ছেলেটকে স্কুলে ভৰ্ত্তি করাইয়া দেয়, আশা-স্কুলে পড়িয়া ছেলে মানুষ হবে । শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ভদ্ৰ, অভদ্র সকলেই পুত্রদিগকে বিদ্যালয়ে পাঠাইয়া নিশ্চিন্ত, নিজের সমর্থ হইলেও সন্তান শিক্ষার ভার গ্ৰহণ করিতে সম্মত নহেন। সকলেরই আশা পুত্ৰগণ বিদ্যালয়ে গেলে মানুষ হইতে পরিবে। ছাত্রেরা বিদ্যার বিপণিতে মাসিক দুই চারি পাঁচ টাকা দিয়া পুস্তকের পণ্যবস্তু কিনিতে আসে ও কিনিয়া লইয়া যায়। আসল জিনিষ চায় না। আমরা ক্ষুদ্র জীব, ক্ষুদ্র আমাদের আশা । মানুষ বলিতে আমরা যাহা বুঝি, তাহা শিক্ষক মহাশয় করিয়া দেন । তিনি ছাত্রকে পাশ পাইবার যোগ্য করিয়া তোলেন । পাশ পাইলেই পিতামাতা, গুরুশিষ্য সকলেরই আশা ফলবতী হয়। প্ৰজাহিতৈষী দয়ালু গবৰ্ণমেণ্ট শিক্ষার বিস্তারকল্পে প্রচুর অর্থব্যয় করিয়া আসিতেছেন। এবিষয়ে গবৰ্ণমেণ্টের কোনরূপ কাৰ্পণ্য দেখা যায় না। কিন্তু বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সুবিধা সকলের হইয়া উঠে না, আবার, যাহারা বিদ্যালয়ের ছাত্র, তাহারাও অতি অল্পকালের জন্য বিদ্যাগ্ৰহণ করিতে আসে। ফলতঃ সামাজিকতা শিক্ষার ভার সমাজের হস্তে 动变 শিক্ষকের আসন অতি উচ্চ। এই উচ্চ আসনে বসিবার উপযুক্ত শিক্ষক প্ৰস্তুত করা সমাজের অবশ্য কৰ্ত্তব্য। আমরা পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি প্ৰাথমিক শিক্ষাগুরু মাতা ও পিতা এবং তৎপরে বিদ্যালয়ের গুরু । কিন্তু বর্তমান অবস্থায় ইহার কেহই স্ব স্ব দায়িত্ব বুঝিয়া পূর্ণ শিক্ষাদানে ব্ৰতী