পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩০৬

fesfSSSTYT কালের গতিতে এদেশে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, রোগের প্রকৃতি পরিবর্তন ও নূতন নূতন রোগের আমদানী হইতেছে। কিন্তু আয়ুৰ্বেদ অপরিবর্তনীয়। আমরা অপরিবর্তনকে বড় আপনার করিয়া ठुबिध्नाछि । কিন্তু বুঝিতে চাই না যে,-ভগবানের রাজ্যে পরিবর্তন ভিন্ন অপরিবর্তনীয় আর কিছুই নহে। ভগবানের শাস্ত্রে পরিবর্তন আছে, কিন্তু আমাদের গড়া শাস্ত্রগুলির পরিবর্তন করিতে নাই। কোন বিষয়ে উন্নতিসাধন করিতে গেলেই তাহার পরিবর্তন আবশ্যক। আয়ুৰ্বেদ চিকিৎসা প্ৰণালীর উৎকর্ষসাধন একান্ত বাঞ্ছনীয় । দেশা চিকিৎসার প্রতি অনেকের অনুরাগ থাকিলেও কতকগুলি কারণে উহার প্রতি নবাশিক্ষিতদিগের শ্রদ্ধা নাই। বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে দেশী চিকিৎসা হয় না, উহাতে অস্ত্ৰ চিকিৎসা নাই । অভাবাত্মক এই দুইটী প্ৰধান কারণের অপসারণ করা অসাধ্য বলিয়া বোধ হয় না। অধিকন্তু কবিরাজ মহাশয়কে বহুরূপী সাজিতে হয় । একটা প্ৰাণীকে উদ্ভিদবিদ্যায় অভিজ্ঞ, রাসায়নিক, ংস্কৃত ভাষাবিৎ, শিক্ষক, ঔযধনিৰ্ম্মাতা ও চিকিৎসক হইতে হইবে । কিন্তু এমন প্ৰতিভাশালী বলিষ্ঠ কৰ্ম্মী কয়জন হইতে পারেন ? সকল বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করিতে পারেন, এমন সৌভাগ্য কয়জনের হয় ? কৰ্ম্মবিভাগ না থাকিলে আয়ুৰ্বেদ চিকিৎসার উন্নতিসাধন অসম্ভব। হোমিওপ্যাথির ন্যায় আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষার্থ মন স্বী ছাত্ৰ প্ৰায় জোটে না এবং শিক্ষাদান কাৰ্য্যও সুচারুরূপে সম্পন্ন হয় না। ছাত্ৰগণ পুস্তকের পাঠ গ্ৰহণ করে, কিন্তু বস্তু বা বিজ্ঞানের সহিত পরিচয় তাহদের অতি অল্পই হয়। নিদানের কয়েকটা শ্লোক তোতাপাখীর মত মুখস্থ করিয়া কত কবিরাজের সৃষ্টি হইতেছে! আয়ুৰ্বেদ চিকিৎসা প্ৰধানতঃ বৈদ্ব্যের জাতীয়