পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ সংস্কার । ✓ob “ት প্রসব করে, বাঘ প্রসব করে না। ব্যান্থশাবক ও বিড়ালশাৰকে যে প্ৰভেদ, পাশ্চাত্যশিশু ও ৰাঙালীশিশুতে সেই প্ৰভেদ । কেন ? বাঙালীপিতামাতার দুর্বলতাই ইচার কারণ। বঙ্গীয়শিশু। পৃথিবীতে আসে দৈহিক ক্ষুদ্রতা ও খৰ্ব্বতা লইয়া। বাল্যে বিবাহ হয় বালয়াই ত বালকবালিকার সন্তান জন্মিরা থাকে, এবং সেই সন্তান ক্ষুদ্রকায় ও দুর্বল কয়। বাল্যবিবাহ যে বাঙালীর দুর্বলতার একটী কারণ, তাহা অস্বীকার করা যায় না । যুক্তি ও প্ৰত্যক্ষদৃষ্ট ফলের সহিত শাস্ত্ৰোক্তির মিল থাকিলে, শাস্ত্ৰ মানিতে কাহারে আপত্তি থাকিতে পারে না। যুক্তি বলিতেছে,- যৌবনই বিবাহের প্রশস্ত কাল, বাল্য নহে, । সুশ্রফতাদি শাস্ত্ৰও সেই কথাই বলিতেছে। যোগী স্বাভজ্ঞবল্ক্য বলিয়াছেন, - ‘অনন্যপূৰ্ব্বকাং কান্ত মসপিণ্ডাং যাঁৰীয়সীম। অরোগিনীম।” ইত্যাদি । অৰ্থাৎ অধ্যয়ন সমাপন করিয়া যুবক অরুগ্ন যুবতীর পাণিগ্ৰহণ করিবে । সাবিত্ৰী, দময়ন্তী প্ৰভৃতি অনেক সতীনারীর যৌবনেই বিবাহ হইয়াছিল । কেহ কেহ হয়ত রুধিয়া-গৰ্জিয়া শাসাইবেন, কি ! দেশাচারের বিরুদ্ধে কথা ! কিন্তু তঁাহারা জানেন—ক’ত কুলীন কন্যাকে ঋতুমতী কইয়া পিতৃগৃহে অবিবাহিত্যাবস্থায় থাকিতে হয় । কেহ কেহ পাত্রের অভাবে চির-কুমারী। কেহ বা অচিরে বৈধব্যবস্থানা ভোগের জন্যই অতিবৃদ্ধ “বয়সে বাপের বড়’ কেন বরের গলে মাল্যদান করিতে বাধ্য হইয়া থাকেন । C丽可乙两可一 ‘অঙ্গং গলিতং পালিতং মুণ্ডং দন্তবিষ্ঠানং জাতং তুণ্ডম। কর-ধূতি-কম্পিত-শোভিতদণ্ডং” আর, কাশিতে কাশিতে সরে শোণিতখণ্ডম।