পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ সংস্কার । bos করিলে বিবাহের অধিকারী কে, তাহা বুঝা যায় এবং যুক্তির সঙ্গেও মিলে। যিনি অন্ন বস্ত্ৰাদি যোগাইয়া ভাৰ্য্যার সকলপ্রকার ভার বহনে সম্পূর্ণ সমৰ্থ, শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করিতে সক্ষম, তিনি বিবাহের অধিকারী । দুর্বল অক্ষামের সে অধিকার নাই । যে দরিদ্র হইয়াও অর্থ উপাৰ্জন করে না, করিতে পারে না, সে যদি বিবাহ করে, তবে তাহার স্ত্রীপুত্রকন্যার দুঃখের আর অবধি থাকে না । মুর্থ, রুগ্ন, বিকলাঙ্গ, অন্ধ, পঙ্গুব বিবাহ নিষিদ্ধ। কারণ, যে ব্যক্তি আত্মরক্ষায় অক্ষম, সে ভাৰ্য্যাকে রক্ষা করিবে কেমন করিয়া ? এ চেন পুরুষের বিবাহে, পরিবারে কেবল অশান্তি ও দারিদ্র্যই বুদ্ধি পায় এবং ভিক্ষুকের দল সৃষ্টি হয় । কিন্তু এই সমাজে এইরূপ লোকের বিবাহ অবাধে চলিয়াছে । পুরুষের বিবাহের কোন কালাকাল নাই।। ১০ বৎসর বয়সে হইতে পারে, ৬০ বৎসর বয়সেও হইতে পারে। সে এক বিবাহও করিতে পাবে, একশ বিবাহও করিতে পারে। ভাৰ্য্যাকে ভরণপোষণ করিতেও পারে, না করিতেও পারে। এরূপ স্বেচ্ছাচার বা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা সমাজের পক্ষে নিতান্ত অমঙ্গল ও ব্রীড়াজনক । कन्य०० । বিবাহ পবিত্ৰ প্ৰণয়বন্ধন । ইহাতে অর্থসম্বন্ধে যে কোনরূপ চুক্তি (contract) নিতান্ত অবৈধ ও অহিতকর । পুর্বে কন্যা পণ ছিল । পিতা কন্যাকে পণ্য দ্রব্যের ন্যায় ১০০ ০২, ১২০০২ টাকায় বিক্ৰী করিতেন। দাস প্ৰথা প্ৰচলিত থাকা কালে প্ৰভু, দাস দাসী পোষণ করিয়া তাহাদিগকে সর্বাপেক্ষা অধিক মূল্যদাতার নিকট ( to the highest bidder) বিক্ৰী করিয়া লাভবান হইতেন। কন্যাবিক্রয়ী পিতাও সেই