পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩১৮

NOS o পূজা ও সমাজ । প্ৰভু অপেক্ষা কোন অংশেষ্ট শ্ৰেষ্ঠ নাচোন। পিতা কন্যারক্লাভে নিজকে । কৃতাৰ্থ মনে করিয়া অধীরচিত্তে এক দুষ্ট করিয়া কন্যার বয়স গণনা করিতেন এবং অষ্টম বর্ষে ৮০. ০২, নবম বর্ষে ৯০. ০২ টাকায় কন্যাদান করিয়া cशोन्नौलान दा রোহিণী দানের ফল পাইতেন । ইহার ফলে কত বংশ বিবাহ করিয়া নিঃস্ব হইয়াছে, কত বংশ লিবাচ করিতে না পারিয়া নিৰ্ব্বংশ হইয়াছে, তাহার সংখ্যা কে করে ? ব্রাহ্মণদের মধ্যেই পণের মাত্ৰাট খুব চড়িয়াছিল। তাতারা যে সকল বিষয়েট পথপ্রদর্শক ! কত দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ “ভরার মেয়ে বিবাহ করিয়া সমাজকে কলঙ্কিত করিয়াছে, তাহার छेशडों माछे । খলপ্রকৃতিক লোকের একটা ব্যবসা হই ৰাছিল যে, তাহারা দূর স্থান হইতে নীচ অস্পৃশ্য জাতির মেয়েগুলিকে গণ্ডায় গণ্ডায় নৌকায় ভরিয়া অন্যত্ৰ নিয়া ব্ৰাহ্মণকন্যা বলিয়া অপেক্ষাকৃত অল্প মূল্যে ব্ৰাহ্মণের নিকট বিবাহ দিত। এই সকল মেয়েরাই ‘ভরার মেয়ে’ বলিয়া পরিচিত হইত। ইহাতে কন্যাপক্ষ, বরপক্ষ ও ঘটকপক্ষ তিন পক্ষেরই আৰ্গিক লাভ হইত। মনে করুন, কন্যার মূল্য ৫০০২ টাকা । কন্যাপক্ষ ৩০০০ টাকা ও ঘটকপক্ষ ২০০২ টাকা এইরূপ ভাগ হইল। পাত্ৰিপক্ষ ১০ ০০২ টাকা স্থলে ৫০.০১ টাকায় কন্যা পাইল, সুতরাং ত্যাহারও ঠিক হইল না। বরপক্ষ সমাজের নিকট কিয়াৎকালের জন্য কখন কখন লাঞ্ছিত হইত। কিন্তু এই প্ৰকার বিবাহের নিবারণ জন্য বিশেষ কোন চেষ্টা হইত না । সুখের বিষয়, এই ভীষণ কুপ্ৰথা আপনা হইতেই সমাজ হইতে চলিয়া গিয়াছে। দুঃখের বিষয়, তৎস্থানে ততোধিক অশুভজনক আর একটীি কুপ্ৰথা সগৰ্বে মস্তক উত্তোলন করিয়াছে। কন্যাপণ চলিয়া গিয়াছে, পাত্ৰাপণ সেই স্থান অধিকার করিয়া বসিয়াছে। --