পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ সংস্কার । ७». পাত্ৰাপণ । পূর্বে কন্যার জন্মে মাংস বিক্রয়ী পিতার মনে কত আনন্দ হইত ! এখন কন্যার জন্মে। দরিদ্রপিতার মুখ শুকাইয়া যায় । কন্যা যতই বড় হইতে থাকে, পিতার উদ্বেগের মাত্ৰাও ততই বুদ্ধি পাইতে থাকে। দশবৎসর উত্তীর্ণ হইতে না হইতেই কন্যাকে কি প্রকারে পাত্ৰস্থ করিতে হইবে, এই চিন্তায় রাত্ৰিতে তাহার ঘুম হয় না । গৃহিণাও পাতির চিন্তানলে ইন্ধন যোগাইতে ত্রুটি করেন না । দরিদ্র হইলেও পণ্ডিত পিতা জানেন,-- “আদৌ। তাতে বরং পাশ্যং ততো বিত্তং তত: কুলম। যদি কশ্চিৎ বরে দোষ; কিং ধনেন কুলে না কিম৷” পিতা সৰ্ব্বাগ্ৰে পাত্রের পাত্ৰ ত্ব খুজিবেন, তার পর বিত্ত, তার পর কুল। বর যদি নিগুণ হয়, তবে ধনেই বা কি হইবে ? কুলেই বা কি তইবে ? পিতা সৎপাত্রের অনুসন্ধানে বাহির হইয়া যাহা দেখেন, তাহাতে তাহার চক্ষু স্থির। সৎপাত্ৰ বলিতে আজকাল পাশ করা ছেলেই বুঝায়। স্বাস্থ্য, সংস্বভাব প্ৰভৃতি গুণ সংপাত্রের লক্ষণ বলিয়া এখন আর কেহ বড় মনে করেন না । কালিদাস বুঝিয়াছিলেন,--- “একো হি দোষো গুণসন্নিপাতে নিমজ তীন্দোঃ কিরণোধিবাঙ্ক: । চন্দ্রের কলঙ্ক তদীয় কিরণজালে যেমন ডুবিয়া যায়, তেমনি বহুগুণের মধ্যে একটিমাত্ৰ দোষ ঢাকা পড়ে । আমরা বুঝিয়াছি,-পাত্ৰেয় পাশমাত্র গুণ থাকিলে সকল প্রকার দোষ অগ্রাহ। এক গুণে সব দোষ ঢাকিয়া যায়। পিতা দেখিতে পান, একটা পাশের মূল্য পাঁচশত টাকা ।