পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वित्रांड्रु नश्ट्र । osa কল্পনা ছাড়িয়া বাস্তব জগতে আসিলেও দেখিতে পাওয়া যায়,-মণিপুর প্রভৃতি স্থানে কামিনীরা ফুলের গয়না পরিয়া সাজিতে ভালবাসেন, ইহাতে সৌন্দৰ্য্য নষ্ট হয় বলিয়া তাহদের ধারণা নাই। ফুলের গয়না !! সে কি ! ! সে ত একদিনেই শুকাইয়া যায়! যুবক যুবতিগণ ! তোমরা ফুলের ভাষা জানি ; ঐ শোন বনে ও উদ্যানে কত ফুল ফুটিয়া হাসিয়া কি বলিতেছে। বলি তেছে না কি ?---আমাদের যে দশা, তোমাদের ঐ যৌবনফুলের ও সেই দশ। আমাদিগকে উপহাস করা কি সহৃদয়তার কাৰ্য্য ? আমাদের রূপ ক্ষণস্থায়ী সীতা, কিন্তু কার রূপ চিরস্থায়ী ? আমরা নিজের সৌন্দৰ্য্য লইয়াই সুন্দর । ধার-করা সৌন্দৰ্য্যের কোন ধার ধারি না। বঙ্গের কুলকামিনীগণ! তোমাদিগকে আর একটা কথা বলি। আমাদের মতন তোমাদের শরীরটা কোমল, প্ৰাণটা কোমল। এই দুর্বল দেহ আমাদেরই ভার বহন করিতে সমর্থ। কেন তোমরা নাসা-কণা-বোধ করিয়া সোণার কঠিন ভার বহন করিয়া দেহটাকে জর্জরিত করা ? ইহাতে কি সুখ ? বুদ্ধিমতী প্ৰৌঢ়ী রমণীগণ “স্ত্রীধন” বলিয়া স্বৰ্ণালঙ্কারের পক্ষপাতিনী। স্বীধনের ভাগ নাই। ইতা রমণীর নিজ সম্পত্তি, ইহাতে তাহার অধিকার । এ দেশের রমণীগণ পৈতৃক ধনে বঞ্চিত । পিতার সম্পত্তিতে কন্যার কোন অধিকার নাই। আবার স্বামীর সম্পত্তিতে পুত্রেরই অধিকার। কাজেই কোন কালেই রমণীদিগের নিজস্ব কিছুই থাকে না । সুতরাং তাহদের একটা নিজ সম্পত্তির ব্যবস্থা থাকা ভাল, সন্দেহ নাই। এখন লাভালাভের গণনাটা আসিতেছে। আচ্ছা, একটা হিসােব ধরা যাউক । মনে করুন, ৫০০২ টাকার গয়না গড়ান হইল। কমপক্ষে এক-চতুর্থাংশ সেকরাকে দিতে হইল। তবেই ৫০ ০০ টাকায় ৩৭৫২ টাকার জিনিষ ঘরে আসিল। পরন্তু শতকরা ১২ টাকা হিঃ মাসিক সুদ