পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिदाश् म९शान्न । రిసి বিষয়, চিরজীবনেও ঋণ শোধ হয় না । অল্পবেতনভোগী ভৰ্ত্তা স্ত্রীঋণে মুক্তিলাভের আশায় কত আৰ্থিক কষ্টভোগ করেন, তাহ। অনেকেই অবগত আছেন । কেহ কেহ ঋণ করিয়া স্ত্রীর অলঙ্কার দিয়া থাকে ; কাহাকেও বা সেই ঋণের দায়ে কারাভোগ করিতে হয় । যুক্ত পরিবারের সকল পুরুষই সমান উপাৰ্জনশীল নহেন। যিনি অধিক উপাৰ্জনক্ষম, তিনি হয়ত নিজ পত্নীকে অনেক টাকার গয়না। দিলেন। অযোগ্য অক্ষামের স্ত্রীর ভাগ্যে যৎসামান্য গয়না। জুটল। ইহাতে কখন কখন বধূগণের মধ্যে মনোমালি ন্য অবশেষে ভ্ৰাতৃবিচ্ছেদ ঘটিয়া থাকে। অলঙ্কারে ক্ষতি ভিন্ন লাভ নাই, লাভের মধ্যে দারিদ্র্য ও অশান্তি বৃদ্ধি। অলঙ্কার প্রকৃতপক্ষে সৌন্দৰ্য্যের হেতু নহে। কিন্তু মানিলাম তাই বটে। শুধু একটু সৌন্দৰ্য্যের খাতিরে এতগুলি অপকার সহস্থ করা সমাজের পক্ষে শুভজনক নহে। বহু অনার্থের মূল অলঙ্কার উঠাইয়া দিতে ধনী কি দরিদ্র কাহারো কোন আপত্তির অনিবাৰ্য্য কারণ নাই । <ಕ್ಕೆ আত্মকৃতব্যাধির প্রতীকার না হইলে সমাজের দারিদ্র্য দুৰ্গতি কেবল বুদ্ধিই পাইবে। পাত্ৰাপণের সঙ্গে সঙ্গে অলঙ্কারের দাবিতে কন্যাপক্ষ নিপীড়িত। কিন্তু যুবতীরা যদি প্রতিজ্ঞা করেন,-আমরা গয়না চাই না। তবেই তাহদের পিতৃকুল ও পতিকুল স্বস্তি পাইবে । তাহারা যদি বোঝেন, অলঙ্কারে মানসিক বা আত্মিক উন্নতি হয় না । ইহা শরীরে বল দেয় না। অথবা দুর্বলতাদূর করে না। যদি বোঝেন বলই সৌন্দৰ্য্য, যৌবনে যখন বল বৃদ্ধি পায়, তখন দেহ সুন্দর ; কিন্তু জরা আসিয়া যখন বলা হরণ করে, তখন আর সৌন্দৰ্য্য থাকে না, কোটি টাকার গয়না পরিয়াও জরতী, যুবতীর কান্তিলাভ করিতে পারে না। আর যদি বোঝেন,-চরিত্ৰ-মহিমাই, অমূল্য মণ্ডন, স্বৰ্ণাভরণ তাহার নিকট অতি তুচ্ছ, হেয়। বুঝিয়া যদি প্ৰতিজ্ঞা করেন, সামান্ত সোণার অলঙ্কার আর গ্ৰহণ করিব না, আর