পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । 8 হে ব্ৰহ্মন! কোন কৃতী ব্যক্তি স্তব করিয়া তোমাকে প্ৰসন্ন করিতে পারেন ? স্তব করিলেও তুমি সাধারণ মানুষের ন্যায় সুখী হইবে না, স্তব না করিলেও তুমি রাগ করিবে না। তবে তোমার স্তব করা কি নিরর্থক ? না, তা নয়। লোকে ইহা দেখা যায় যে, চাটুবাদ চাটুকারের মনকে মলিন করে, কিন্তু তোমার স্তব করিলে দিব্য আত্মপ্ৰসাদ জন্মে, অভূতপূৰ্ব্ব আনন্দের আবির্ভাব হয় ॥ ৯ তুমি পূর্ণ, অনন্ত ; মানব অপূর্ণ, সান্ত। অপূর্ণ মানব পূর্ণের সম্পূর্ণ ধারণা করিতে পারে না, তাই তাহারা তোমার স্তব, ধ্যান ও মনন করিতে যাইয়া তোমাকে বিকল করে অর্থাৎ তোমার অংশমাত্ৰই গ্ৰহণ করে,- অসীমকে সসীম করে, দেশ ও কালে সীমাবদ্ধ করে, অমূৰ্ত্তের মূৰ্ত্তি গঠন করে । " এইরূপ সর্ববিষয়ে সীমাবদ্ধ না করিয়া তোমার ধ্যানাদি করা: মানুষের পক্ষে অসম্ভব, আকাশকুসুমের ন্যায় অলীক নয় কি ? ॥ ১০ আমার চিত্ত অত্যন্ত কলুষিত, আমি ত তোমার স্বরূপ ধারণা করিতে একান্ত অক্ষম । আমি তোমার স্তব করিতে যাইয়া তোমার নিকট যে অপরাধে অপরাধী, সেই অপরাধ ক্ষমা করিও এই ভিক্ষা চাই । হে পূরমাত্মন! তুমি ব্যতীত আর কাহার শরণা লইব ? আমার দীনতা দূর করা || ১১ হে পরমাত্মন! হে ভগবন! আমি তোমার নিকট ইহাই ভিক্ষা চাই যেন তোমার মধুর বাণী আমার কর্ণকুহরে প্রতিনিয়ত প্ৰতিধ্বনিত হইতে থাকে, আমার রসনা যেন সৰ্ব্বদাই তোমার সুধামাথা নাম জপ৷ করিতে থাকে, আমার নয়ন দুটী যেন তোমার ভুবনমোহনরূপ জগতের গুতি পদার্থে অহরহুঃ দেখিতে পায়, আর আমার মন যেন তোমারই দয়ায় তোমারই চরণে নিয়ত প্ৰণত থাকে ॥১২ ইতি শিবস্তোত্ৰ ।