পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । Ο Σ “মধুবাত। ঋতায়তে মধুক্ষরস্তি সিন্ধবঃ। মাধবী ণঃ সন্তোষধীঃ । মধু নাক্ত মুতোষসে মধুমত্ব পার্থিবং রজঃ।। মধু ষ্ঠৌরস্তু ন; পিতা ৷ মধুমান্নো বনস্পতি মধুমাস্ত সূৰ্য্যঃ । মাধবীৰ্গাবো ভবন্ত না: ||” মধুৰ বায়ু বহিতে থাকুক, নদীসকল মধু ক্ষরণ করুক, আমাদের বুদ্ধি মধুময়ী হইয়া সন্তোষ মৃত পান করুক | রজনী, উষা, মধুময়ী হউক, পৃথিবীর ধূলা মধুময় চাউক । আকাশ মধুময় হউক, আমাদের পিতা মধুময় হউক। বৃক্ষ মধুময় ঠাউক, সূৰ্য্য মধুময় চউক, আমাদের ধেনুসকল মধুময়ী হউক। দেখিতে দেখিতে পূজার একদিন, দুইদিন, তিনদিন কাটিয়া গেল । এক বৎসরের জন্য মায়ের পূজা ফুরাঈল । পূজা ফুবাইল, কিন্তু একটা মধুব ভােব মনে জাগাইয়া দিল। আমরা মাতৃপূজা করি, ইহা ভাবিয়া মনে আর্ব আনন্দ ধরে না। দশমীর দিনে ধনী ধনগৰ্ব্ব ভুলিয়া দরিদ্রকে, বিদ্যান বিদ্যাভিমান পরিত্যাগ করিয়া মুৰ্থকে, অভিজাতব্যক্তি জাত্যভিমান পবিচারপূৰ্ব্বক নীচকুলোদ্ভব ব্যক্তিকে প্রেমালিঙ্গনে আপ্যায়িত করিতেছেন । ইহা সাময়িক হইলেও সামান্য লাভ নহে। দুর্গাপূজা একটী আশ্চৰ্য্য বিধান। বাঙালীর প্রায় সৰ্ব্ববিধ অনুষ্ঠানে, সকল প্রকার উৎসবেই আজকাল প্ৰাণহীনতা দৃষ্ট হয়, কিন্তু এই সাৰ্বজনীন মহোৎসবে কেমন একটা সজীবতা, কেমন পবিত্ৰ ভাবের একতনতা, জাতীয়তার কেমন একটা সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি পরিলক্ষিত হয়, ভাবিলে প্ৰাণমন পুলকে নাচিতে থাকে। ইহার মূলে যে গভীর দার্শনিকতত্ত্ব ও