পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृञ्जा ७ माभास्त्र । ¢ዓ r আমাদের জ্ঞান, অজ্ঞানবৃত আছে বলিয়াই কেমন একটা মোহ, চিত্তভ্ৰান্তি আসিয়া উপস্থিত হয়, সেই জন্যই ব্ৰহ্ম আমাদের দৃষ্টিগোচর হন না। অজ্ঞান আমাদের জ্ঞানকে ঢাকিয়া রাখিয়াছে সুতরাং জ্ঞানের স্ফুরণ হয় না, ব্ৰহ্মদর্শনও হয় না । এষ্ট অজ্ঞান দূর করা মানবের পরমপুরুষাৰ্থ । মলিন চিত্তমুকুরকে একেবারে মালশূন্য করিতে পারিলেই তাহাতে ব্ৰহ্মের প্রতিবিম্ব পড়িবে। সমল মন যে পৰ্য্যন্ত নিৰ্ম্মল না হইবে, সে পৰ্য্যন্ত ব্ৰহ্মদর্শন ঘটিবে না । জ্ঞান-ভাতুর কিরণে পাপপঙ্কিলতা বিশোধিত হইলেই মনশ্চক্ষু ব্ৰহ্মকে দেপিন্তে সমর্থ। প্ৰধানতঃ তিন প্রকারে ব্ৰহ্মদর্শন হয় । পুরাকালে আৰ্য্য ঋষিগণ প্ৰকৃতিতে ব্ৰহ্মসম্ভোগ করিয়া পুলকিত ও কৃতাৰ্থ হহঁতেন । “অদিতিনন্দিনী উষাবিনোদিনী”ও “শুভ্ৰজ্যোৎস্নাপুলকিত যামিনী’র মাধুৰ্য্যে ও সৌন্দৰ্য্যে ডুবিয়া কত ভাবুক কবি ব্ৰহ্মাস্বাদকরতঃ আত্মহারা হইতেন। কবিবর ওয়ার্ডসওয়াথ (Wordsworth ) প্ৰকৃতির ভীষণ-রমণীয় দৃশ্যাবলী দর্শন করিয়া ভগবৎপ্রেনে ডুবিয়া যাইতেন। যোগিগণ আত্মাতে ব্ৰহ্মকে উপলব্ধি করিয়া আত্মতৃপ্ত থাকিতেন । f ड९ p**९ १jgभ771दिछे९ গুহাহিত্যং গহবরেষ্টং পুরাণম। অধ্যাত্মযোগাধিগমেন দেবং মত্বা ধীরে হর্ষশোকেী জহাতি ॥ উপনিষদ। ব্ৰহ্মকে সঙ্গজে দেখা যায় না, তিনি যে জগতের প্রতিপদার্থের ভিতরে লুকাইয়া আছেন। তিনি আমাদের হৃদয়গুহাতে বৰ্ত্তমান, কিন্তু চক্ষুরাদি ইন্দ্ৰিয়ের অতীত। এই পুরাণপুরুষকে জ্ঞানিজন অধ্যাত্মযোগবলে অবগত হইয়া হৰ্ষশোকের অতীত হইয়া থাকেন।