পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VoR দুর্গোৎসব। থাকিলে অগ্নির অগ্নিত্ব থাকে না । তবেই অগ্নি অর্থে শক্তিবিশেষ। এই প্রকারে কার্য্যকারণসম্বন্ধ ও বস্তুধৰ্ম্ম চিন্তা করিতে করিতে জ্ঞানীভাবুকগণের মনে কেবল শক্তিই জাগে। এই প্ৰকার বিচারে ব্ৰহ্ম আর চিন্ময়ীশক্তি একই বস্তু হইয়া দাড়ায় । জ্ঞানিগণ ব্ৰহ্ম বা সেই বিশ্বব্যাপিণী। শক্তিকেই “আদ্যশক্তি” প্ৰভৃতি আখ্যা প্ৰদান করিয়াছেন। সেই চিন্ময়ী মহাশক্তিই আমাদের আরাধ্যা ভগবতী দুর্গা। দুর্গাপূজা ও ব্রহ্মউপাসনার একই তাৎপৰ্য্য । কবি মানসপটে যে মানসচিত্র অঙ্কিত করিয়া থাকেন, চিত্রকর কুম্ভকার, ভাস্কর প্রভৃতি শিল্পীগণ সেই চিত্রকেই স্কুলতর মূৰ্ত্তি দিয়া সাধারণের নিকট উপস্থিত করে । চিন্ময়ী নীরূপ শক্তিকে কবি রূপ দিয়াছেন । কবি সাধারণের অবোধ্য সূক্ষ্ম অশরীরী তত্ত্বকে, অস্ফুট ভাবকে, স্কুল ও স্পষ্ট করেন এবং রূপ প্ৰদান করিয়া জীবন্ত করিয়া তোলেন, তবে সাধারণের হৃদয়গ্ৰাহী হয়। কবি অসীমকে সসীম করেন, আমুর্তের মূৰ্ত্তি আঁকিয়া চোখের সামনে ধরেন। কবির স্বভাবই এইরূপ। দুর্গাপূজায় কবি, শক্তির ভুবনমোহিনী মূৰ্ত্তি হৃদয়ফলকে আঁকিয়া জগতে শক্তিপূজার, মাতৃপূজার প্রচার করিলেন । মানব-সমাজে, নিখিল প্রাণী- জগতে, 5 555びす "平5; বিশ্ব ব্যাপিয়া পাণ্ড খণ্ড অসংখ্য শক্তির ক্রিয়া অবিরাম দেখা যাইতেছে । এই খণ্ড খণ্ড শক্তির সমষ্টি সমগ্ৰ-মহাশক্তির উপাসনাই দুর্গাপূজা । এই মহাশক্তি জড়শক্তি নহে । চৈতন্য কৰ্ত্তা, জড় কৃত, চৈতন্য জ্ঞাত, জড় জ্ঞাত, চৈতন্য ভোক্তা, জড় ভুক্ত। চৈতন্য ও জড়ে এই প্রভেদ। দ্বৈতবোধে এই প্ৰকার অনুভূতি। চৈতন্যশক্তিতেই জডের শক্তি। চিন্ময়ীশক্তিই বিশ্বজননী, জড়শক্তি বিশ্ব গড়িতে পারে না । আমরা পূর্বে বলিয়াছি, ব্রহ্ম ও চিন্ময়ীশক্তি বা ভগবতী দুর্গ একই