পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । , Գֆ ইন্দ্ৰিয়সকল দুৰ্ব্বল, অপটু হইয়া পড়িবে, অথবা কোন কোন ইন্দ্ৰিয়াশক্তির একেবারেই লোপ হইবে, যখন জরা ব্যাধি আসিয়া শরীরটাকে অকৰ্ম্মণ্য করিয়া ফেলিবে, তখন কি আর ধৰ্ম্ম উপার্জনের সময় থাকে। ? ধৰ্ম্ম উপাৰ্জন কৰা কি এতই সহজ ? আবার বৃদ্ধকাল পৰ্যন্ত যে, জীবনটা থাকিবে তাত 1 রই বা স্থিরতা আছে কি ? যাহারা সৌভাগ্যবশতঃ বাৰ্দ্ধক্যে উপনীত হইয়া থাকেন, তাহদের কাছে ও ধৰ্ম্মের কথা বড় একটা শুনা यभू क्रा ! জ্ঞান, চারিত্র্য ও ধৰ্ম্ম ইতারা সহোদর ভ্রাতা। চরিত্রবান না হইয়া কেহ ধাৰ্ম্মিক হইতে পারে না । অসচ্চরিত্র ব্যক্তিকে কে ধাৰ্ম্মিক বলিবে ? তবে অধঃপতিত সমাজে এরূপ হওয়া একেবারে অসম্ভব নহে । বস্তুতঃ চরিত্রগঠন ধৰ্ম্মজীবন লাভের প্রধান সহায় । ইহা এক দিনে সম্পন্ন হয় না । আবাল্য বহু দিন কঠোর ব্রত-নিয়ম পালন করিয়া সৎপথে বিচরণ করিবার অভ্যাস দৃঢ় হইলে সুচরিত্র গঠিত হইতে পারে। নীচ-ক্ষুদ্র স্বাৰ্থত্যাগ, উদার স্বার্থ-সংরক্ষণে বলবতী চেষ্টা, শত বিস্ত্ৰ অতিএক্রম করিয়া কৰ্ত্তব্য পালনে নিরন্তর উদ্যম, ধৰ্ম্মের অঙ্গীভূত। আত্মরক্ষার পুরুষোচিত চেষ্টা, আবার আত্মত্যাগের উদার অভিনয়, উভয়ই ধৰ্ম্ম । চারিত্র্যহীন ধৰ্ম্ম অধৰ্ম্ম, কৰ্ম্মহীন ধৰ্ম্ম পঙ্গু, জ্ঞানহীন ধৰ্ম্ম অন্ধ, ভাবভক্তিহীন ধৰ্ম্ম শুষ্ক, নীরস। সুচরিত্র লাভ করিয়া মহৎ কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মানুষ্ঠান করিতে করিতে, জ্ঞান ও ভক্তির সাহায্যে ঈশ্বরের আরাধম। করিতে পারিলেই ধৰ্ম্ম সফলতা লাভ করে । আৰ্য্য ঋষিগণ বিদ্যার দুই ভাগ করিয়াছেন-পরাবিদ্যা ও অপরাবিদ্যা । ব্ৰহ্মবিষয়িণী বিদ্যার নাম পরাবিদ্যা। যাহাতে ব্ৰহ্মজ্ঞানের উপদেশ আছে, যে পবিত্ৰ গ্ৰন্থচয় ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের সহায়, তাহার নাম ব্ৰহ্মবিদ্যা । উপনিষদ, শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা প্রভৃতি এই শ্রেণীর গ্ৰন্থ। কেহ কেহ এইরূপ