পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ उठ-* মত পোষণ করেন যে, হিন্দুর ধৰ্ম্ম গ্রন্থগুলি জীবনের নশ্বরতা, দেহের ক্ষণভঙ্গুরতা, বিষয়ের অসারতা প্রতিপাদন করিয়া লোকদিগকে কৰ্ত্তব্য হইতে বিচলিত করিয়া দেয়। কিন্তু, “অজারামরবৎ প্রাজ্ঞে বিদ্যামর্থঞ্চ চিন্তয়েৎ । গৃহীত ইব কেশেষ মৃত্যুনা, ধৰ্ম্মমাচরোৎ ||” আমি অজার, অমাব এই রূপ ভাবিয়া সীমান ব্যক্তি বিদ্যা ও বিষয় চিন্তা করিবেন, এবং যম আসিয়া। কেশে ধরিয়াছে, এইরূপ মনে করিয়া ধৰ্ম্মাচরণ করিবেন। এই অমূল্য উপদেশ পালন করিয়া চলিলে আমাদের সকল দিকই বজায় থাকে। আমরা চিরকাল বিদ্যা অজ্জন করিব, সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মাচরণ করিব । বিষয় ভোগ করিব, সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যা ও ধৰ্ম্ম অর্জন করিব । বাস্তবিক, ‘ঈশ্বরবারাধনং भश् ९", ঈশ্বর-আরাধনারূপ পুণ্য মহৎ কৰ্ম্ম সম্যকরূপে সম্পাদন করিতে পারিলেই আমাদের জীবন সার্থক। অনলে, অরুণে, চন্দ্ৰে ভঁাচার দিব্য জ্যোতির, বিশ্বোেব সৰ্ব্বত্ৰ তাতার বিরাট বিকাশের, এবং হৃদয়ে তাহার ভুবনমোহিনী মূৰ্ত্তির অনুভূতিতেই ব্রহ্মবিদ্যা চরিতাৰ্থ । ইহাও স্মরণ রাখিতে হইবে যে, কেবল ভজন-পূজনেই ঈশ্বরের আরাধনা শেষ হয় না । তাহার সৃষ্ট জীবের হিত-সাধনেই তাহার বিশেষ প্রতি হইয়া থাকে । ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের উপায় কি ? কি উপায়ে অজ্ঞান নাশ করিয়া ব্ৰহ্মদর্শন হইতে পারে ? এই প্রশ্নের উত্তর উপনিষদে পাওয়া যায়,- ‘তস্যৈ তপো দমঃ কৰ্ম্মেতি প্ৰতিষ্ঠা বেদাঃ সৰ্ব্বাঙ্গানি সত্যময়তনাম।” ষড়ঙ্গবেদ, তপস্যা, দাম ও কম্মে ব্রহ্মবিদ্যার প্রতিষ্ঠা এবং সত্য ইহার আশ্ৰয় । * ব্ৰহ্মকে লাভ করিতে হইলে তপস্যা চাই, কৰ্ম্ম চাই, দাম অর্থাৎ স্থির