পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ԳN2 • ॐ5-े । সাহেবের মতে পুস্তকের বিদ্যা (Learning), শিক্ষার ব্যাবতীয় ফলের মধ্যে “অবম ও অকিঞ্চিৎকর । যাহা অকিঞ্চিৎকর বলিয়া পাশ্চাত্যদিগের ধারণা, আমরা কিন্তু তাহাকেই প্ৰথম, শ্রেষ্ঠ স্তান দিয়া বসিয়াছি । আমরা জ্ঞান-ধৰ্ম্ম, স্বাস্ত্য-সুচরিত্র কিছুষ্ট চাই না, চাই শুধু নৃপস্তবিদ্যা, চাই অধি-ব্যাধি লইয়া একটা উপাধি । বঙ্গভাষার অশান্তী"ত উন্নতি হইয়াছে । বিদ্যাসাগরের লেখনীধারণকাল হইতে এপৰ্য্যন্ত এত অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গ ভাষাবি যে শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে, তাহা ভাবিয়া মন বিস্ময়-আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া পাকে । কিন্তু কেহ কেহ। আক্ষেপ করিয়া থাকেন যে, বঙ্গভাষা মধু বঙ্কিম প্রভৃতি সাহিত্যরথিগণের নিকট যে ওজো-বলা লাভ করিয়াছিল, তাহা এখন হারাইতে বসিয়াছে; কাব্যের বীররস মুমূর্ষু দশায় উপনীত হইয়াছে। বঙ্গভাষায়, কুঞ্জে কুঞ্জে, ফুলে ফুলে আলির গুঞ্জন, শুকসারীর প্রণয়সম্ভাষণ যথেষ্ট শুনিতে পাওয়া যায়, কিন্তু মহারণ্যে সিংহনাদ, জলধির উদার উদাত্তরাগ কিম্বা বাত্যাবিতাড়িত জলদগৰ্জন আর এখন বড় শুনিতে পাওয়া যায় না। এ আক্ষেপের কোন কারণ আছে কিনা, তাহা বৰ্ত্তমান সাহিত্যরথা সুধীসমাজই বিচার করিবেন। তবে একথা সত্য যে, ভাষার শক্তি বৃদ্ধিতে সমাজের বিশেষ লাভ আছে । ওজস্বিনী, শক্তিশালিনী ভাষা সমাজে শক্তিসঞ্চাব করিয়া থাকে। অবলা কোমল ভাষা সমাজে বল দান করিতে পারে না। কেবল কুঞ্জবনের উপযোগী ভাষার সাহায্যে পৃথিবীর কোন জাতিই মহিমাশালী হইতে পারে নাই।