পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

otro ዄáiei-ቒሞ፱ | ংস্কৃতভাষা বঙ্গভাষার জননী । বাঙলা ব্যাকরণ, সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুবাদ মাত্ৰ। বাঙলার শব্দসম্পদ সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার চাইতে সংগৃহীত। যদিও পাশ্চাত্য ভাবনিচয় বৰ্ত্তমান বাঙলা ভাষাকে অলঙ্কত করিতেছে, তথাপি সংস্কৃতের নিকট এই ভাষা যে অপবিশোধনায় ঋণে আবদ্ধ, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। রামায়ণ, মহাভারত প্ৰভৃতি জাতীয় সম্পত্তি সংস্কৃতভাষায় নিবদ্ধ। হিন্দুর ধন্মগ্রন্থসকল ঐ ভাষায় লিগিত । হিন্দুর স্তবস্তুতি, পূজা,-সংস্কৃতে । চণ্ডীপাঠ, গীতাপাঠ, বিরাটপাঠ,---সংস্কুতে। সন্ধ্যার মন্ত্র, শ্রাদ্ধের মন্ত্র, বিবাহের মন্ত্র,-সংস্কৃতে । স্নানের মন্ত্র, দানের মন্ত্র,-সংস্কৃতে । ব্ৰতকথা,-সংস্কৃতে, টোলের সংস্কৃত শিক্ষা,-সংস্কৃতে । যত দিন হিন্দুব নিত্যনৈমিত্তিক কৰ্ম্মে সংস্কৃতের ব্যবহার থাকিবে, তােত দিন সংস্কৃত অধ্যয়ন প্রচলিত থাকা উচিত। কারণ, অর্থ বোধ কেবল পুরোহিতের নয়, যজমানের ও থাকা দরকার । যাজমান সংস্কৃতজ্ঞ হইলে অজ্ঞ পুরোচিতের বিশেষ অসুবিধা হয় বলিয়া, অর্থ বুঝিয়া তদনুসারে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করিতে বিরত থাকা যজমানের কৰ্ত্তব্য নহে । অর্থ বুঝা চাই, তা না হ’লে ভাব-ভক্তি আসিতে পারে না। আধুনিক পাশ্চাত্য ভাষার সহিত প্রাচীন গ্রীক, লাটিন ভাষার ঘে সম্বন্ধ, বাঙলার সহিত সংস্কৃতের সেই সম্বন্ধ নিচে । ইংরেজি প্রভৃতি উন্নত ভাষা, গ্রীক-ব্লাটিনের সাহায্য গ্ৰহণ না করিলেও ক্ষতিগ্ৰস্ত হইবে না, কিন্তু সংস্কৃতের সাহায্য না নিলে নবীন বঙ্গভাষার সম্যক শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে না বলিয়া আশঙ্কা করা যায়। সংস্কৃত মৃতভাষা। মৃতকে স্পর্শ করিলেও অশৌচ হয়, সুতরাং মৃতের আদর করা বুদ্ধিমানের কাৰ্য্য নহে, ইহা সৰ্ব্বথা পরিত্যাজ্য। এরূপ মত কেহ কেহ পোষণ করিতে পারেন, কিন্তু সংস্কৃতভাষা মৃত হইয়াও অমৃত-নিৰ্য্যন্দিনী। ইহা সঞ্জীবনীমুধা। বাল্মীকি প্ৰভৃতি মহাকবিগণ