পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । ܕܰܘ݂ যে মধুচক্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহা হইতে হিন্দুগণ “আনন্দে করিবে পান সুধা নিরবধি ।” সংস্কৃতভাষা মৃত হইলেও মৃতকে বাচাইতে, সুপ্তকে জাগাইতে, পাপীকে পুণ্যবান করিতে, চরিত্রহীনকে চারিত্ৰ্যদান করিতে, অশান্তিতে সাম্ভনা দিতে সম্পূর্ণ সমর্থ। বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি মহারাথিগণ-যাহারা বাঙলাগদ্যের জীবন সঞ্চার কবিয়াছেন, তঁাহারা BYJYBDBS DBDBBD DDBDDS BBDLDD0DS S S JD DB DB BBSDS DBDJJS অধ্যয়ন আমরা ছাড়িতে পারি না । ইংরেজি বহুদেশ প্রচলিত উন্নত রাজভাষা। নূতনে পুরাতনে কোলাকুলি, মেশামেশি হওয়া আবশ্যক । ইংরেজি ও সংস্কৃত এই छुद्दे ভাষার সাহায্যে বাঙলা ভাষার পুষ্টিসাধন হইয়াছে, ও হাওয়া বাঞ্ছনীয় i ইংরেজি ভাষা অথকরী বলিয়াই ইংরেজি বিদ্যায় জনসাধারণের মন আকৃষ্ট, কিন্তু ইহাতে বিদ্যা শিক্ষার মহৎ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় না, প্ৰকৃত জ্ঞানলাভ হয় না । ভারত চিরকালই একাকী, বিচ্ছিন্ন, কিন্তু বৰ্ত্তমানে এরূপ ভাল অবলম্বন করিয়া থাকা আর শোভা পায় না । পৃথিবীর সভ্যজাতির সহিত যোগসাধনের দিন আসিয়াছে। এখন আর ঘরের কোণে চুপ করিয়া বসিয়া থাকি বার দিন নাই । ইংরেজী ভাষা পাশ্চাত্য সভ্য জাতির জ্ঞানমন্দিরের দ্বার স্বরূপ, এই দ্বারা আমাদের জন্য বিধাতার রূপায় উদঘাটিত হইয়াছে। মন্দিরে প্রবেশ করিয়া জ্ঞান ও শক্তি সঞ্চয় করিব ; অর্থ সংগ্ৰহ অবাস্তর ফলমাত্ৰ । দেহের ন্যায় বাঙালীর মনটাও দুর্বল। শক্তির সঞ্চয়, সঞ্চিত শক্তির পরিবদ্ধন যদি শিক্ষার প্রধানতম উদ্দেশ্য হয়, তবে আমাদের মন যাচাতে বলশালী হইতে পারে, সেইরূপ শিক্ষাই প্ৰশস্ত ও আদরণীয় ।