পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজা ও সমাজ । لایر ਨੂੰ ਵਿ . পুরুষের পক্ষে জ্ঞানার্জন যে সকল কারণে হিতকর ও অতি প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে, স্ট্রীজাতির পক্ষে ও প্ৰায় সেই সকল হেতু বিদ্যমান। আলোক যদি উত্তম জিনিষই হয়, যদি সেবনীয় হয় ; জ্ঞান যদি পশুত্ব দূর করিবার ক্ষমতা রাখে, তবে কেন স্ত্রী জাতিকে সেই উত্তম জিনিষের ভোগে বঞ্চিত রাখিব ? প্ৰাচীন আৰ্য্য সমাজে রমণীদিগের উচ্চশিক্ষার ভূরি ভূরি প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানকালে পাশ্চাত্য সভ্যসমাজে স্ত্রী-শিক্ষার বিশেষ প্ৰচলন দেখা যায়। বর্তমান হিন্দুসমাজে স্ত্রী-শিক্ষার যে অবস্থা তাহাতে স্ত্রী-শিক্ষা নামে মাত্ৰ আছে। বাল্যবিবাহ স্ত্রী-শিক্ষার মূৰ্ত্তিমান বিস্ত্র। বঙ্গীয় শিক্ষিত যুবকদল, বোধোদয়ের বিদ্যায় বিদ্যাৰতী, পত্ৰ লিখনে কথঞ্চিৎ আভ্যস্ত যুবতী রমণীর সংসর্গে সন্তুষ্ট থাকিতে পারেন কি ? চিরজীবন জ্ঞানের উপাসনা করিতে হইবে । কৃতদার হইয়াও করিতে হইবে । তখন জ্ঞানবতার গণেশের অৰ্চনা করিতে যাইয়া “সস্ত্রীকে ধৰ্ম্মমাচরেৎ,” এই উপদেশটা কোন হিন্দুই ভুলিতে পারেন না । জ্ঞানার্জন ধৰ্ম্ম, সুতরাং স্ত্রীপুরুষ মিলিয়া জ্ঞানচর্চা করিবে, এই কথা ভুলিতে পারেন না, ভুলিলে অৰ্দ্ধাঙ্গে উন্নতি ও সুখ অসম্ভব হইবে। সমগ্ৰ লোকসংখ্যার প্রায় অৰ্দ্ধেকই রমণী, ইহাদিগকে আঁধারে ফেলিয়া পুরুষগণের আলোক ভোগের আশা বিড়ম্বনামাত্র। বিদ্বান কি কখনও মুখের সঙ্গ কামনা করেন ? অজ্ঞ ব্যক্তি অজ্ঞতাকে আদর করিতে পারে বটে, কিন্তু বিজ্ঞের পক্ষে অজ্ঞতার প্রশংসা স্বাভাবিক নহে। মাতৃ V