এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পূরবী
১১২
ঠেলেঠুলে চেপেচুপে মোরে
সেখান হ’তে ক’রেছে এক-ঘরে।
হেনকালে ক্ষুদ্রদুখের ক্ষুদ্রফাটল্ বেয়ে
কেমন ক’রে এলো হঠাৎ ধেয়ে
বিশ্বধরার বক্ষ হ’তে বিপুল দুখের প্রবল বন্যাধারা;
এক নিমেষে আমারে সে ক’র্লে আত্মহারা
আনলে আপন বৃহৎ সান্ত্বনারে,
আন্লে আপন গর্জ্জনেতে ইন্দ্রলোকের অভয়-ঘোষণারে।
মহাদেবের তপের জটা হ’তে
মুক্তি-মন্দাকিনী এলো কূল-ডোবানো স্রোতে;
ব’ল্লে আমার চিত্ত ঘিরে ঘিরে—
ভস্ম আবার ফিরে পাবে জীবন-অগ্নিরে।
ব’ল্লে, আমি সুরলোকের অশ্রুজলের দান,
মরুর পাথর গলিয়ে ফেলে ফলাই অমর প্রাণ।
মৃত্যুঞ্জয়ের ডমরু-রব শোনাই কলস্বরে,
মহাকালেব তাণ্ডব-তাল সদাই বাজাই উদ্দাম নির্ঝরে।
স্বপ্নসম টুটে
এই কেবিনের দেওয়াল গেলো ছুটে।
রোগশয্যা মম
হ’লো উদার কৈলাসেরি শৈলশিখর সম।
আমার মন-প্রাণ
উঠল গেয়ে রুদ্রেরি জয়গান:—