এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পূরবী
১৬৮
সেথায় লাজুক পাখী ছায়া-ঘন শাখে,
মধ্যাহ্নে করুণ কণ্ঠে উদাসীন প্রেয়সীরে ডাকে।
সন্ধ্যা তারা দিগন্তের কোণে
শিরীষ পাতার ফাঁকে কান পেতে শোনে
যেন কার পদ-ধ্বনি দক্ষিণ বাতাসে।
ঝরাপাতা-বিছানো সে ঘাসে
বাঁশরী বাজাই আমি কুসুম-সুগন্ধি অবকাশে।
দূরে চেয়ে থাকি একা
মনে করি যদি কভু পাই তা’র দেখা
যে পথিক একদিন অজানা সমুদ্র উপকূলে
কুড়ায়ে পেয়েছে চাবি; বক্ষে নিয়ে তুলে
শুনিতে পেয়েছে যেন অনাদি কালের কোন্ বাণী;
সেই হ’তে ফিরিতেছে বিরাম না জানি’।
অবশেষে
মৌমাছির পরিচিত এ নিভৃত পথ-প্রান্তে এসে
যাত্রা তা’র হবে অবসান;
খুলিবে সে গুপ্ত দ্বার কেহ যার পায়নি সন্ধান॥
বুয়েনােস্ এয়ারিস্,
২৬ নভেম্বর, ১৯২৪।