পাতা:পূরবী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

বৈতরণী

ওগো বৈতরণী,
তরল খড়্গের মতো ধারা তব, নাই তা’র ধ্বনি,
নাই তার তরঙ্গ-ভঙ্গিমা;
নাই রূপ, নাই স্পর্শ, ছন্দে তা’র নাই কোনো সীমা;
অমাবস্যা রজনীর
সুপ্তি - সুগম্ভীর
মৌনী প্রহরের মত
নিরাকার পদচারে শূন্যে শূন্যে ধায় অবিরত।
প্রাণের অরণ্য-তট হ’তে
দণ্ড পল খ’সে খ’সে পড়ে তব অন্ধকার স্রোতে।
রূপের না থাকে চিহ্ন, নাহি থাকে বর্ণের বর্ণনা,
বাণীর না থাকে এক কণা।

ওগো বৈতরণী,
কতবার খেয়ার তরণী
এসেছিলো এই ঘাটে আমার এ বিশ্বের আলোতে।
নিয়ে গেলো কালহীন তোমার কালোতে
কত মোর উৎসবের বাতি,
আমার প্রাণের আশা, আমার গানের কত সাথী,