ঘরের খবর পাইনে কিছুই, গুজোব শুনি নাকি
কুলিশ-পাণি পুলিশ সেথায় লাগায় হাঁকাহাঁকি।
শুন্ছি নাকি বাংলা দেশে গান হাসি সব ঠেলে
কুলুপ দিয়ে ক’র্ছে আটক আলিপুরের জেলে।
হিমালয়ে যোগীশ্বরের রোষের কথা জানি,
অনঙ্গেরে জ্বালিয়েছিলেন চোখের আগুন হানি’।
এবার নাকি সেই ভূধরে কলির ভূদেব যারা
বাংলা দেশের যৌবনেরে জ্বালিয়ে ক’র্বে সারা।
সিম্লে নাকি দারুণ গরম শুন্ছি দার্জ্জিলিঙে,
নকল শিবের তাণ্ডবে আজ পুলিশ বাজায় শিঙে॥
জানি তুমি ব’ল্বে আমায়, থামো একটুখানি,
বেণু-বীণার লগ্ন এ নয়, শিকল ঝম্ঝমানি।
শুনে আমি রাগ্বো মনে, কোরো না সেই ভয়,
সময় আমার আছে ব’লেই এখন সময় নয়।
যাদের নিয়ে কাণ্ড আমার তারা তো নয় ফাঁকি,
গিল্টি-করা তক্মা-ঝোলা নয় তাহাদের খাকী।
কপাল জুড়ে নেই তো তাদের পালোয়নের টিকা,
তা’দের তিলক নিত্যকালের সোনার রঙে লিখা।
যেদিন ভবে সাঙ্গ হবে পালোয়ানির পালা,
সেদিনো তো সাজাবে জুঁই দেবার্চ্চনার থালা।
সেই থালাতে আপন ভাইয়ের রক্ত ছিটোয় যারা,
সড়বে তা’রাই চিরটা কাল? গ’ড়বে পাষাণ-কারা?
পাতা:পূরবী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২০৫
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পূরবী
১৯২