পাতা:পূরবী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

শিলংয়ের চিঠি

শ্রীমতী শোভনা দেবী ও শ্রীমতী নলিনী দেবী-
কল্যাণীয়াসু।

ছন্দে লেখা একটি চিঠি চেয়েছিলে মোর কাছে,
ভাব্‌ছি ব’সে, এই কলমের আর কি তেমন জোর আছে।
তরুণ বেলায় ছিলো আমার পদ্য লেখার বদ্‌-অভ্যাস,
মনে ছিলো হই বুঝি বা বাল্মীকি কি বেদব্যাস,
কিছু না হোক ‘লঙ্‌ফেলো’দের হবো আমি সমান তো,
এখন মাথা ঠাণ্ডা হ’য়ে হ’য়েছে সেই ভ্রমান্ত।
এখন শুধু গদ্য লিখি, তাও আবার কদাচিৎ,
আসল ভালো লাগে খাটে থাক্‌তে প’ড়ে সদা চিৎ।
যা-হোক একটা খ্যাতি আছে অনেক দিনের তৈরি সে,
শক্তি এখন কম প’ড়েছে তাই হ’য়েছে বৈরি সে;
সেই সেকালের নেশা তবু মনের মধ্যে ফির্‌ছে তো,
নতুন যুগের লোকের কাছে বড়াই রাখার ইচ্ছে তো।
তাই বসেছি ডেস্কে আমার, ডাক দিয়েছি চাকরকে,
“কলম লে আও, কাগজ লে আও, কালী লে আও ধাঁ কর্‌কে।”