পাতা:পূরবী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

যাত্রা

আশ্বিনের রাত্রিশেষে ঝ’রে-পড়া শিউলি-ফুলের
আগ্রহে আকুল বনতল; তা’রা মরণকূলের
উৎসবে ছুটেছে দলে দলে; শুধু বলে, “চলো চলো!”
অশ্রুবাষ্প-কুহেলিতে দিগন্তের চক্ষু ছলছল,
ধরিত্রীর আর্দ্রবক্ষে তৃণে তৃণে কম্পন সঞ্চারে,
তবু ওই প্রভাতের যাত্রীদল বিদায়ের দ্বারে
হাস্যমুখে ঊৰ্দ্ধপানে চায়, দেখে অরুণ-আলোর
তরণী দিয়েছে খেয়া, হংস-শুভ্র মেঘের ঝালর
দোলে তা’র চন্দ্রাতপতলে।
ওরে, এতক্ষণে বুঝি
তারা-ঝরা নির্ঝরের স্রোতঃপথে পথ খুঁজি’ খুঁজি’
গেছে সাত ভাই চম্পা; কেতকীর রেণুতে রেণুতে
ছেয়েছে যাত্রার পথ; দিগ্বধূর বেণুতে বেণুতে
বেজেছে ছুটির গান; ভাঁটার নদীর ঢেউগুলি
মুক্তির কল্লোলে মাতে, নৃত্যবেগে ঊর্দ্ধে বাহু তুলি’
উচ্ছলিয়া বলে, “চলো, চলো।” বাউল উত্তরে-হাওয়া