এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮৫
ক্ষণিকা
বিরহের দূতী এসে তা’র সে স্তিমিত দীপখানি
চিত্তের অজানা কক্ষে কখন রাখিয়া দিল’ আনি’।
সেখানে যে বীণা আছে অকস্মাৎ একটি আঘাতে
মুহূর্ত্ত বাজিয়াছিল; তা’র পরে শব্দহীন রাতে
বেদনা-পদ্মের বীণাপাণি
সন্ধান করিছে সেই অন্ধকারে-থেমে-যাওয়া বাণী॥
সেদিন ঢেকেছে তা’রে কি এক ছায়ার সঙ্কোচন,
নিজের অধৈর্য্য দিয়ে পারেনি তা করিতে মোচন।
তা’র সেই ত্রস্ত আঁখি, সুনিবিড় তিমিরের তলে
যে-রহস্য নিয়ে চ’লে গেলো, নিত্য তাই পলে পলে
মনে মনে করি যে লুণ্ঠন।
চিরকাল স্বপ্নে মোর খুলি তা’র সে অবগুণ্ঠন॥
হে আত্মবিস্মৃত, যদি দ্রুত তুমি না যেতে চমকি’,
বারেক ফিরায়ে মুখ পথ-মাঝে দাঁড়াতে থমকি’,
তা হ’লে পড়িত ধরা রোমাঞ্চিত নিঃশব্দ নিশায়
দুজনের জীবনের ছিল যা চরম অভিপ্রায়।
তা হ’লে পরম লগ্নে, সখি,
সে ক্ষণকালের দীপে চিরকাল উঠিত আলোকি’॥