পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**5ऊा-नश्डिा दछि-9नत्र । dÅ দ্রব্য, আফ্রিকার উপকূল হইতে স্বর্ণ এবং মালবার ও লঙ্কা হইতে পিপ্পল এবং দারুচিনি সংগ্ৰহ করিতেন। এই সুত্রে ভারত-মহাসাগরের সর্বত্র তঁহাদের গতিবিধি ছিল। ‘পেরিপ্লাস’ গ্ৰন্থই সে সাক্ষ্য প্ৰদান করিতেছে । মালবার ও করোমণ্ডল উপকূল হইতে যে সকল বাণিজ্য-পোত বিদেশে যাত্ৰা করিত, সে সকলই ভারতীয় শিরিগণের শিল্প-নৈপুণ্যের পরিচায়ক। মালবার-উপকূলে ‘লিমিরিক বন্দরে বাণিজ্যপোতের অধিষ্ঠান ছিল ৷ ‘পেরিপ্লাস’ গ্রন্থে তাহার বিস্তৃত বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। পরবর্তিকালে মার্কোপোলো প্রমুখ পরিব্রাজকগণ চীনদেশে যে শ্রেণীর বাণিজ্য-পোত প্ৰত্যক্ষ করিয়াছিলেন, ‘পেরিপ্লাস’ গ্রন্থে উল্লিখিত পোতের বর্ণনার সহিত তাহার যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে। যে সকল অর্ণব-পোতে বণিকগণ গতিবিধি করিতেন, তাহদের কোনটী মকরাকৃতি, কোনটী ময়ূরাকৃতি, আবার কতকগুলি বা জীব-জন্তুর আকৃতির অনুকরণে সংগঠিত। এতদ্ভিন্ন, আরও বিবিধ আকৃতির পোতের পরিচয় গ্ৰন্থপত্রে প্রাপ্ত হই। সমুদ্রপথে বাণিজ্যের উপযোগী পোতাদি গমনাগমনের পথের বিষয়ও ‘পেরিপ্লাস’ গ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছে। তখন ভারতীয় বাণিজ্যে নিযুক্ত পণ্যসম্ভারবাহী অর্ণবপোতসমূহ ‘মিয়স হরমোস’ বা ‘বেরেণিকা’ হইতে যাত্ৰা করিয়া লোহিত্য-সাগরের পথে প্ৰথমে “মোখার” কুড়ি মাইল দক্ষিণে ‘মৌজা’ নামক স্থানে পোছিত। তার পর, সেখান হইতে ‘ওকেলিসে” আসিত। পরে আরব-সাগরের উপকূল ধরিয়া ‘ইউডেইমন’ ( বর্তমান এডেন ) বন্দরে এবং আরব অতিক্রম করিয়া “কেন’ বন্দরে আসিয়া উপস্থিত হইত । ‘কেন’ হইতে ভারত-প্ৰবেশের কয়েকটি পথ ছিল। কোনও কোনও পোত সেখান হইতে সিন্ধু নদে প্ৰবেশ করিয়া ‘বারিগাজায়’ আসিত ; আবার কোনও কোনও পোত বরাবর মালবার উপকূলে ‘লিমিরিক” বন্দরে পৌছিত। এরোমেটা ( গাদ্দাফুই অন্তরীপ ) হইতে লিমিরিক বন্দরে গমনাগমনের আরও একটা পথ ছিল । বর্ষাকালেই সাধারণতঃ বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধি পাইত। হিপ্পালাসের অনুসরণে, বণিকগণ সাধারণতঃ জুলাই মাসে মিশর হইতে ভারত অভিমুখে যাত্ৰা করিতেন। টলেমির চিত্ৰ । টলেমির ভূগোল-গ্রন্থে যে সকল বাণিজ্য-বন্দরের উল্লেখ আছে, তন্মধ্যে নিম্নলিখিত কয়েকটী বন্দর বিশেষ উল্লেখযোগ্য । যথা,--(১) সৈরাষ্ট-বর্তমান সুরাট ; (২) মনোগ্লোসনগুজরাটের অন্তৰ্গত মনগ্রোল বন্দর ; (৩) আরিয়াক-মহারাষ্ট্র দেশ ; (৪) সৌপার, (৫) মুজিনিস, (৬) বাকারাই ; (৭) মৈসলিয়া-বৰ্ত্তমান মসলিপত্তন ; (৮) কৌনাগড়-কেনাৱক বন্দর এবং (৯-১০) পাটল ও বাকেরাই প্ৰভৃতি। পাটলের অবস্থান-প্রত্নতত্ত্ববিদগণ সিন্ধু প্রদেশে নির্দেশ করেন। খৃষ্ট-পূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে পাটল বন্দর বিশেষ সমৃদ্ধিসম্পন্ন এবং বাণিজ্যের কেন্দ্ৰস্থল মধ্যে পরিগণিত ছিল,-গ্ৰীস* गांत्रेि আগাথার-ফাইডিস্ সে সাক্ষ্য প্ৰদান করিয়াছিলেন। ʼi- I vWeb0