পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্ৰ-গুপ্ত বিক্রমাদিত্য । २१७० উৎপল-বৃহৎ-সংহিতার টীকা রচনা করিয়াছিলেন। সেই টীকার কাল-৮৮৮ শকাব্দ অর্থাৎ ১৯৬৬-৬৭ খৃষ্টাব্দ নির্দিষ্ট হয়। সেই টীকায় উৎপল, কামন্দকীয় নীতিসার হইতে কয়েকটা শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছিলেন। “কাব্যালঙ্কারসুত্ৰবৃত্তি’ গ্রন্থে বামন ‘কামন্দকীয় নীতিসার’ হইতে “কামং কমন্দকী নীতিরস্তা রাস্যা দিবানিশম” বাক্য উদ্ধার করিয়াছিলেন। বামন ৮০০ খৃষ্টাব্দে বৰ্ত্তমান छिgन्न निक्राष्ठिङ झग्न । ” এতদ্ভিন্ন, ভবভূতি র্তাহার ‘মালতীমাধবে’ কামন্দকী নামে এক কুটরাজনীতিক রমণীর উল্লেখ করিয়াছেন। ভবভূতি যে মহিলার বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, সে মহিলা তঁহার সমসময়ে বিদ্যমান ছিলেন, আনুমান করা অসঙ্গত নহে। তখন কামন্দকীয় রাজনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিশেষ সমাদৃত ছিল। ভবভূতি তাহার নাম অবশ্যই অবগত ছিলেন। ৭০০ খৃষ্টাব্দে ভবভূতির বিদ্যমানতা স্থিরীকৃত হয় । এদিকে আবার “কমন্দকীয় নীতিসারে” কতক গুলি রাজার নাম প্ৰাপ্ত হই। তঁহাদের কেহ ষড়যন্ত্রের ফলে, কোচ বা বিষপ্রয়োগে নিহত হন ( ৫১-৫৪ শ্লোক ) । “বরাহমিহির’ যে সকল রাজার নাম করিয়াছেন, নীতিসাবেও তেঁছাদের নাম দেখিতে পাই ; যথা,- ‘শস্ত্ৰেণ বেণী বিনিগুহিতেন বিপূরথং স্বমহিষী জঘন।”-বরাহমিহির । “বেণ্যাং শাস্ত্ৰং সমাধায় তথা চাপি বিদূরথমণ ।”-কামন্দকীয় নীতিসার । তাই মনে হয়, বরাহমিহির “কামন্দকীয় নীতিসার’ হইতেই পূর্বোক্ত নৃপতিগণের নাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । কারণ, বরাহমিহিরের গ্রন্থে “নীতিসার” উদ্ধৃত হহয়ছে ; কিন্তু নীতিসারে “বরাহমিহিরের” বৃহৎসংহিতার বা বরাহমিহিরের নাম-মাত্র পরিদৃষ্ট হয় না। তাই কামন্দকী এয়াহমিহিরের পুর্ববৰ্ত্তী বলিয়াই সিদ্ধান্ত হন। সুতরাং “ক্যামন্দকীয় নীতিসার” যে বৃহৎসংহিতা অপেক্ষা অনেক প্ৰাচীন, তাহাতে সন্দেহ নাই । সে হিসাবে সপ্তম শতাব্দীরও পূৰ্ব্বে কামন্দকীর কাল নির্দেশ করিতে পারি। আর কামন্দকীর কােল সপ্তম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্দিষ্ট হইলে, কালিদাসের কাল সে হিসাবে পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগে নির্দেশ করা অসঙ্গত বলিয়া মনে করি না। এখন পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমে যদি এখন কোনও রাজার পরিচয় পাই, যিনি “বিক্ৰমাদিত্য” নামে অভিহিত হইতেন এবং যিনি শকদিগের উচ্ছেদ-সাধন করিয়াছিলেন, তাহা হইলেই সকল সমস্যার সমাধান হইতে পারে । খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমে ভারতে যে রাজার পরিচয় পাই, তিনি গুপ্তবংশাবতংস। মহারাজাধিরাজ দ্বিতীয় চন্দ্ৰ-গুপ্ত। দ্বিতীয় চন্দ্ৰ-গুপ্ত, ‘বিক্ৰমাদিত্য” নামে অভিহিত হইতেন। তিনি ‘পাশ্চম-দেশীয় সাত্ৰাপ’ অভিধেয় শকদিগকে উন্মলিত করিয়াছিলেন। ভারতে তৎকর্তৃক শকদিগের আধিপত্য উচ্ছিন্ন হয়। এ হিসাবে, তঁাহাকেই ‘শকারি” বলা যাইতে পারে। কেন-না, তঁহার পরে অনেক দিন পৰ্য্যন্ত আর ভারতে শকদিগের নাম শুনা যায় নাই। Journals of the Boaubay Brauch of Royal Asiatic Society for 1909, and Indian Antiquary, Vol. XL - I -ot